বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রাজস্থানের বিকানির থেকে এমপি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ‘সেলুলয়েড’ দেওল পরিবারের তিনিই প্রথম রাজনীতিতে পা রাখেন। দাপটের সঙ্গে জিতেও আসেন তিনি। কিন্তু তারপর আর বিকানিরের পথ মাড়াননি ধর্মেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে একসময় সরব হয়েছিল বিকানির। ধর্মেন্দ্রর সহধর্মিনী হেমা মালিনীও বিজেপির দ্বিতীয়বারের এমপি। ৬৩ বছরের সানি হলেন দেওল পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম। যিনি রাজনীতিতে এসেই বিজেপির টিকিট পেয়ে যান।
গত লোকসভা ভোটে গুরুদাসপুরের ত্রিমুখী লড়াইয়ে মোদি-শাহর তুরুপের তাস ছিলেন সানি। সম্মানের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের মুখরক্ষাও করেছিলেন তিনি। তাঁর কাছে হেরে যান কংগ্রেসের পোড়খাওয়া নেতা সুনীল জাখর। কিন্তু অভিযোগ, জিতে আসার পর গুরুদাসপুরের মানুষের অভাব-অভিযোগ নিয়ে তাঁকে খুব একটা সরব হতে দেখা যায়নি। সংসদেও তিনি গরহাজির। সংসদীয় এলাকাতেও তাঁর যাতায়াত নেই। তারকা সাংসদের এই ভূমিকায় যারপরনাই রুষ্ট গুরুদাসপুরের একটা বড় অংশের মানুষ। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ‘নিখোঁজ পোস্টার’। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাঠানকোটের রেলস্টেশন, পার্ক ও বিভিন্ন রাস্তার মোড় ঢেকেছে সেই পোস্টারে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘নিখোঁজের হদিস চাই’।
পাঞ্জাবের কুর্সিতে এখন কংগ্রেস। পোস্টার ইস্যুতে বিবৃতি দিতে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি দলের প্রদেশ নেতা মনীশ তেওয়ারি। তিনি বলেছেন, ‘অবাক হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। সানির বাবা ধর্মেন্দ্রও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিকানিরে তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল। সানির ক্ষেত্রেও এটাই প্রত্যাশিত। গুরুদাসপুরের মানুষের এখন আত্মসমালোচনার সময় এসেছে।’ পাল্টা জবাবে ফেসবুক পোস্টে সানি বলেছেন, ‘আমি তো বিরোধী শিবিরে। বিরোধী নেতারা সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যস্ত থাকেন। আমিও শহরের যানজট সমস্যার মোকাবিলা করেছি। স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। আমার নিন্দুকেরাই ওইসব পোস্টার সাঁটাচ্ছেন।’