বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অন্যদিকে, ওই সিলেক্ট কমিটিতে লোকসভার যে ২০ জন সদস্যকে নির্বাচন করা হয়েছে, তার মধ্যে একজনও কেন মুসলিম এমপি নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেন, সংসদীয় কমিটির সদস্য কোনও ধর্মের ভিত্তিতে হয় না ঠিকই। কিন্তু নাগরিকত্ব বিলে বিজেপি সরকার যেভাবে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভার সদস্যদের এই কমিটি বড় চোখে লাগছে। প্রত্যক্ষ হোক পরোক্ষে, মোদি সরকার বার বার মুসলমান বিরোধী বলেই প্রমাণ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অধীরবাবু।
লোকসভায় আজ ‘দ্য পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ২০১৯’ বিল পেশ করেন তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বিলটি আটকাতে উদ্যোগী হন সোনিয়া গান্ধী। বিরোধীদের একজোট করে বিলের বিরোধিতায় সরব হওয়ার নেতৃত্ব দেন তিনি। এই বিলের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব হবে দাবিতে সরব হন অধীররঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূলের সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্র, ডিএমকের দয়ানিধি মারান প্রমুখ। এমনকী শিবসেনাও তাদের পাশে দাঁড়ায়।
বিলটিকে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠাতে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। কিন্তু রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দেন, এই বিলে কোনওভাবেই কোনও ভারতীয় নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব হবে না। কারও কোনও গোপন তথ্যও ফাঁস হবে না। সরকারি ব্যবস্থায় যদি কেউ ফাঁস করে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ যতই বোঝানোর চেষ্টা করেন, ততই বিলটিকে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর দাবি করেন গৌরব গগৈ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কানিমোঝি, সুপ্রিয়া শুলের মতো এমপিরা। নিজের আসনে বসে সোনিয়া গান্ধী বিরোধীদের পরিচালনা করেন। দয়ানিধি মারান ভোটাভুটি চেয়ে বসেন। স্পিকার তার প্রক্রিয়াও শুরু করেন। কিন্তু ভোটাভুটি হওয়ার আগেই ওয়াক আউট করে বিরোধীরা।