বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উপহার নীতিতে মূলত অন্তর্ভুক্ত ‘এ’, ‘বি’, ও ‘সি’ এই তিন শ্রেণির কর্মীরা। এতদিন আধিকারিক পদ মর্যাদার ‘এ’ ও ‘বি’ শ্রেণির কর্মীদের দেড় হাজার টাকার বেশি মূ্ল্যের উপহার নিতে হলে সরকারের অনুমোদন আবশ্যিক ছিল। এবার সেই আর্থিক মূল্যের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। আর এই টাকার বেশি মূল্যের উপহার নিতে হলে প্রয়োজন সরকারি অনুমোদন। অন্যদিকে, ‘সি’ ক্যাটেগরির কর্মীরা অনুমোদন ছাড়াই দু’ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক মূল্যের উপহার নিতে পারেন। যার ঊর্ধ্বসীমা আগে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। যাতায়াতের খরচ, থাকা-খাওয়া সহ অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সরকারের এই ‘উপহার’ তালিকার মধ্যে রয়েছে। তবে সামাজিক আতিথেয়তাকে কোনওভাবেই ‘উপহার’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রক।
বিদেশ থেকে উপহার নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের কিছু নীতির পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র। তুলে দেওয়া হয়েছে এক হাজার টাকার সর্বোচ্চ আর্থিক সীমাও। ওই বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘দ্য ফরেন কন্ট্রিবিউশন (অ্যাকসেপ্টেন্স অর রিটেনশন অব গিফ্ট অর প্রেজেন্টেশন) অ্যাক্ট-২০১২’ মোতাবেক সরকারি আধিকারিক ও কর্মীরা উপহার নিতে পারেন। এতদিন সেই উপহারের আর্থিক মূল্যের ঊর্ধ্বসীমা ছিল এক হাজার টাকা। এবার সেই ঊর্ধ্বসীমাই তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে কত করা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এরই পাশাপাশি, শিল্প কিংবা বাণিজ্যিক সংস্থার কাছ থেকে সরকারি আধিকারিকদের উপহার গ্রহণে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী আধিকারিকদের আতিথেয়তা গ্রহণের বিষয়টি এড়িয়ে চলতে হবে। নেওয়া যাবে না দামী কোনও উপহার সামগ্রীও।