বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার নিউইয়র্কে ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফোরামের (ইউএসআইএসপিএফ) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সেখানে বক্তব্য রাখেন নির্মলা সীতারামন। বিনিয়োগের জন্য ভারতই সবথেকে উপযুক্ত দেশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজও বিশ্বে দ্রুত অর্থনীতির দেশ ভারত। এখানে সবথেকে ভালো দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। এবং এমন একটি সরকার রয়েছে, যা সংস্কারের জন্য কী কী প্রয়োজন সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আর সর্বোপরি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন।’
এরপরেই সীতারামনের উদ্দেশে প্রশ্ন উড়ে আসে, শিল্পপতিরা কেন ভারতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন? জবাবে ভারতের স্বচ্ছ প্রশাসন, খোলা বাজার এবং লাল ফিতের ফাঁস কাটাতে সংস্কারের কথা তুলে ধরেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং পুঁজিপতিদের সম্মান করে। তাই, এর থেকে (বিনিয়োগের) ভালো জায়গা আর আপনারা পাবেন না।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিমা সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট খাতে ভারতে লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে সীতারামনের কাছে আর্জি জানান। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি আপনাদের কোনও আশ্বাস দিতে পারছি না। তবে আপনাদের কথা বিবেচনা করতে রাজি। আপনাদের প্রস্তাব আমার কাছে বিস্তারিত পাঠিয়ে দিন।’
পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার প্রতি সপ্তাহে শিল্পপতিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। কর্পোরেট সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সরকারের উপর আস্থা রয়েছে। রাজকোষ ঘাটতি একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় সরকার বেঁধে রাখতে সরকার।’ দেশে চলতি আর্থিক মন্দা নিয়ে এদিন সীতারামনকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। যে সেক্টরগুলির হাল খারাপ সেগুলির সমস্যা মেটাতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হলেও পূর্ণাঙ্গ বাজেটের জন্য আমরা ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করিনি। এছাড়া প্রতি ১০ দিন অন্তর অর্থনীতির দুর্বল সেক্টরগুলিকে চাঙ্গা করতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
একইভাবে দেশবাসীর হাতে টাকা তুলে দিয়ে যাতে ক্রয় করার ক্ষমতা বাড়ে সে দিকটিও দেখতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সীতারামনের সঙ্গে আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএসআইএসপিএফ-এর প্রেসিডেন্ট মুকেশ অঘি। তাঁর কথায়, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সরকার গত ছ’মাসে গুরুত্বপূর্ণ বহু সংস্কার করেছে। কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল।’