বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথ নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেও গত মাসে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান হয়েই বিশকেকে এসসিওর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সুষমার বিমান নিয়ে তখনও কোন আপত্তি তোলেনি ইমরানের সরকার। এবারও প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথ নিয়ে নয়াদিল্লি থেকে ইসলামাবাদের কাছে অনুরোধ পৌঁছলে, তা ভেবে দেখার কথা বলে পাকিস্তান। বেশি দেরি না করে বুধবারই পাক সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানায়, নৈতিকতার দিকটি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ খুলে দেবে তারা। কারণ, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে আঞ্চলিক শান্তি স্থাপনে আগ্রহী পাক সরকার। বিশকেকে বৈঠকের ফাঁকে মোদির সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সারতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু সেই সম্ভাবনা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। ইমরান খানের বদলে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বেশি আগ্রহী নয়াদিল্লি। যদিও আশা ছাড়েনি ইমরানের সরকার। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথ সুগম করে আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু সেগুড়ে যে বালি, তা এদিন বিদেশ মন্ত্রকের ঘোষণায় স্পষ্ট।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জয়েশ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতীয় উড়ানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করে ইমরানের সরকার। ১১টি পথের মধ্যে কয়েক দিন আগে দু’টি খোলা হলেও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি এখনও দেয়নি পাকিস্তান। ফলে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অনেক ঘুরে বেশি টাকা খরচ করে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। ১২ ঘণ্টা বাড়তি সময় লাগছে।
এদিন পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, বিশকেকে প্রধানমন্ত্রীর বিমানের যাত্রাপথ নিয়ে দু’টি দিক ভেবেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিমান ওমান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলি ডিঙিয়ে বিশকেকের সম্মেলনে পৌঁছবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, মোদির বিমানের পথ নিয়ে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত থেকে পাকিস্তানকে ফের একবার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল। এসসিও সম্মেলনে ইমরান খানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখা হচ্ছে না।