উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ঘনঘন বৈঠকে দলের নতুন সভাপতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর থাকলেও সরকারিভাবে এআইসিসির বয়ান, রাহুল গান্ধীর সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে অনড় থাকার খবর গুজব। দলের মুখপাত্র পবন খেরা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বৈঠকের খবর সত্যি। বাকিটা জল্পনা। রাহুল গান্ধী ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তা খারিজ করে দিয়েছে। এবং সেটিই চূড়ান্ত। পবন খেরা বলেন, নতুন করে সংগঠনকে ঘুরে দাঁড় করানোর দায়িত্ব রাহুল গান্ধীকে দিয়েছে দল। রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধী এদিন বিকেলে সংসদে আসেন। সপ্তদশ লোকসভার এমপি হিসেবে প্রয়োজনীয় ফর্মপূরণ এবং পরিচয়পত্র নেন। সেখানে সভাপতির পদ ছাড়তে চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও উত্তর দেননি রাহুল।
অন্যদিকে, দলের সভাপতির পদ থেকে সরে রাহুল গান্ধী সংসদীয় পারফরমেন্সে জোর দিতে চান বলে খবর। সেই মতো তিনি লোকসভায় দলের নেতা হতে চাইছেন। দলের একটা বড় অংশও চাইছে, ভোটে হার হলেও সাধারণ মানুষের ইস্যুগুলি নিয়ে সংসদে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চেপে ধরুন। সংসদে আরও বেশি সময় দিন রাহুল। কারণ চলতি বছরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভার ভোট। দু’টি রাজ্যেই লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। হরিয়ানার ১০টি আসনের মধ্যে একটিও জিততে পারেনি। ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্রে মাত্র একজন কংগ্রেস এমপি। তাই সংসদে দলের নেতা হিসেবে আরও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় কাজ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী।
যদিও লোকসভায় দলের নেতা হলে সভাপতির পদ ছাড়তে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা কংগ্রেসে নেই। তবুও রাহুল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে অনড় থেকে কৌশলে দু’টি বিষয় বুঝিয়ে দিতে চাইছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। প্রথমটি হল, হারের জন্য আড়ালে যে সব দলীয় নেতা তাঁকে দোষারোপ করছেন, তাঁদের পাল্টা বার্তা দেওয়া। আর দ্বিতীয়ত, এটা প্রমাণ করে দেওয়া যে, হারলেও কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি।