উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এমননিতেই কর্ণাটকে জোট সরকারের ভাগ্য সুতোর উপরে ঝুলছিল। কংগ্রেস-জেডিএসের মধ্যে তেমন বোঝাপড়াও ছিল না বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে ‘অপারেশন লোটাস’-এর পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। সে যাত্রায় কোনওরকমে বেঁচেও গিয়েছিল কুমারস্বামীর সরকার। কিন্তু লোকসভা ভোটে জেডিএস ও কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কর্ণাটকের সরকারকে ফের পাখির চোখ করেছে পদ্মশিবির। রাজ্যের মোট ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৫টি বিজেপির ঝুলিতে এসেছে। একটি পেয়েছে নির্দল। অন্যদিকে, ২২৫টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট কর্ণাটকে একক বৃহত্তর দল বিজেপি। তাদের আসন সংখ্যা ১০৫। সেই জায়গায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৭৯টি। জেডিএস ৩৭টি এবং বিএসপি’র একটি। সবমিলিয়ে মোট ১১৭টি আসন নিয়ে জোট সরকার চালাচ্ছেন কুমারস্বামী। অর্থাৎ ১২জন বিধায়কের উপর কর্ণাটক সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ করছে। কংগ্রেসের দু’জন বিধায়ক তো এখনই বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে। এ ছাড়াও আরও কয়েকজন তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছেন। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা অবস্থান বদল করতে পারেন বলে খবর। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে ঘুরে দাঁড় করাতেই বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন আজাদ ও বেণুগোপাল। জানা গিয়েছে, রমেশ জার্কিহোলি এবং সুধাকরের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথাও বলতে পারেন এআইসিসির দুই নেতা।
জেডিএসও সরকার বাঁচাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধদের দলে ধরে রাখতে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের কৌশল নিয়েছেন কুমারস্বামী। যদিও এদিন তিনি বলেছেন, রদবদল কিংবা সম্প্রসারণ নয়, মন্ত্রিসভার তিনটি খালি পদে নতুন মুখ নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে কার কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে, তা কুমারস্বামী স্পষ্ট না করলেও কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়কদের দু’একজনকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে পারেন বলে খবর।