উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন শশী থারুর। তিরুবনন্তপুরম আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। কিন্তু সারা দেশে মাত্র ৫২টি লোকসভা আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে যে সমস্ত রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যেই শশী থারুর জানিয়েছেন, দল চাইলে লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের নেতা হতেও তৈরি। পাশাপাশি, কংগ্রেসের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলে যাঁরা মন্তব্য করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে শশী থারুর জানান, দল এখনও সক্রিয় রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে হার নিয়ে এখন আক্ষেপ করার মতো সময় নেই। দলকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনগুলির জন্য তৈরি হতে হবে। ৬৩ বছর বয়সি এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘যাঁরা মনে করছেন কংগ্রেসের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে, তাঁরা কেরল ও পাঞ্জাবের ফল দেখুন। দল যথেষ্টভাবে সক্রিয় রয়েছে। আমাদের এখন অতীতের হার নিয়ে ভাবার মতো সময় নেই। কারণ আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার জন্য তৈরি হতে হবে।’
শশী থারুরের সুরে সুর মিলিয়ে রাহুল গান্ধীকেই দলীয় সভাপতি পদে চেয়ে সওয়াল করেন কংগ্রেস নেতা এম বীরাপ্পা মইলি। লোকসভা নির্বাচনের ব্যর্থতা দল খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। রাহুল গান্ধীকে ‘অনুপ্রেরণা’ বলে আখ্যা দিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি জিতেছেন বলে দলের সভাপতি পদ ছাড়ার কোনও অর্থ হয় না। দু’একটা নির্বাচনের ফল কখনই দলের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হতে পারে না। কারণ কংগ্রেস বহু উত্থান-পতন দেখেছে।’
রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি পদে চেয়ে বার্তা দিল তেলেঙ্গানা কংগ্রেসও। তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তথা এবারের নির্বাচনে জয়ী সাংসদ উত্তমকুমার রেড্ডি বলেন, ‘তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আমরা রাহুল গান্ধীকে পদ না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। তাঁর উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা চাই, তিনি সভাপতি পদে থেকে দায়িত্বভার সামলান।’