উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বেড়ে চলা দুর্ঘটনার জন্য একাংশের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন ২৯ বছর বয়সি এই ভারতীয় অভিযাত্রী। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাফিলতির জন্য বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলেও জোর করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এভারেস্টের চূড়ায় উঠছেন। এতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে।’ চলতি বছরে এভারেস্টে উঠতে গিয়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। বিগত চার বছরের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। এবছর ৩৮১ জনকে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। যা কার্যত রেকর্ড। শেরপাদের ধরলে সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। এর ফলে শৃঙ্গ জয়ের একেবারে শেষ ধাপে গিয়ে মানবজটে আটকে রয়েছেন অসংখ্যা পর্বতারোহী। প্রতিকূল আবহাওয়ায় এভাবে বহুক্ষণ আটকে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। আমিশাকেও এভারেস্টের চূড়া ছোঁয়ার পর নেমে আসতে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। কোনও কোনও পর্বতারোহীর ক্ষেত্রে সময়টা ঘণ্টাও অতিক্রম করে গিয়েছে। আটকে থেকে অক্সিজেনের অভাব, শারীরিক অসুস্থতা সহ একাধিক কারণে ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যুও ঘটেছে।
এভারেস্টের প্রতি পর্বতারোহীদের আকর্ষণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানিতে প্রতি বছর আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে দেশের আয় অনেকটাই নির্ভর করে বলে এতদিন নেপাল সরকারও সেভাবে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। কিন্তু এবার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানার সময় হয়ে গিয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ কুলবাহাদুর গুরুং বলেন, ‘এভারেস্টে অনেক বেশি পর্বতারোহী এবার উঠেছেন।’ পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফে পর্যটন বিভাগের ডিরেক্টর মীরা আচার্য বলেন, ‘কতজনকে উপরে ওঠার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কী ধরনের পর্বতারোহীকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’ এবছর অভিযান শেষ হলেই সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে আগামী বছর থেকে প্রশিক্ষণের ওপর আরও গুরুত্ব আরোপ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।