উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
রাজস্থানের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে এসেছে ২৪টি। বাকি একটি পেয়েছে বিজেপির শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। কংগ্রেসের হাত শূন্য। অথচ, এক বছর আগেই রাহুল গান্ধীর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বসুন্ধরা রাজের সরকারকে হারিয়ে রাজস্থান পুনরুদ্ধার করে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলার পর বর্ষীয়ান নেতা অশোক গেটলেটের উপর আস্থা রাখেন রাহুল গান্ধী। তখনকার মতো বিদ্রোহ দমে যায়। এখন নবীন নেতা শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে সরব রাজস্থানের কংগ্রেসের একাধিক নেতা। রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক সুশীল অসোপা বলেছেন, অবিলম্বে অশোক গেটলেটকে সরিয়ে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। তাঁর দাবি, শচীন পাইলটের গত পাঁচ বছরের মেহনতের জেরে কংগ্রেস বিধানসভায় জয়ী হয়েছিল। শচীনকে মুখ্যমন্ত্রী করলে লোকসভায় কংগ্রেসের এই ফল হত না। নবীন প্রজন্মের কাছে শচীনের গ্রহণযোগ্যতা সবথেকে বেশি। কিন্তু তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করায় হতাশ হয় নবীন প্রজন্মের ভোটাররা। যার ফল লোকসভা ভোটে পড়েছে।
জয়পুরের প্রাক্তন মেয়র জ্যোতি খান্ডেলওয়াল দলের খারাপ ফলের জন্য বুথ ম্যানেজমেন্ট এবং নেতৃত্বের অভাবকেই দায়ী করেছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দিল্লিতে অশোক গেটলেট এবং শচীন পাইলটের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের ক্ষোভ কোনওভাবেই কমানো যাচ্ছে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পার্টিকর্মীদের প্রকাশ্যে মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়েছে। কংগ্রেসের এই বিদ্রোহের ঘোলাজলে মাছ ধরতে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। রাজস্থান বিজেপির সহ-সভাপতি জ্ঞানদেব আহুজার মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁর দাবি, বিএসপির ছ’জন এবং কংগ্রেসের ২০ থেকে ২৫ জন বিধায়ক দলীয় নেতৃত্বের উপর অখুশি। তাঁরা যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। বিজেপির আর এক নেতা ভবানী সিং রাজাওয়াত বলেছেন, কংগ্রেস সরকারের ভিত নড়ে গিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে পড়ে যাবে।