পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কাজের বার্ষিক মূল্যায়ন বা অ্যানুয়াল পারফরমেন্স রিপোর্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক টাকাও কর আদায় না করতে পারা পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে ২৩টিই রয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। ঘাগড়া, গুনিয়ারা, বাগদা, দুরকু, মানারা, সানতুরি, বুড়িবান্ধের মতো গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে এই তালিকায়। এছাড়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পঞ্চায়েতের নাম রয়েছে তালিকায়। যেমন, ঝাড়গ্রামের আমারদা এবং সরিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার ব্লকের অঞ্চনা, কোচবিহারের বলরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। সূত্রের খবর, কেন কোনও কর আদায় হল না, রাজ্যের তরফে পঞ্চায়েতগুলির কাছে তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ পঞ্চায়েতই ‘রাজনৈতিক কারণ’-এই কর আদায় সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে। তাই তড়িঘড়ি সমস্যা কাটিয়ে এসব এলাকায়ও কর আদায় সুনিশ্চিত করতে রাজ্যস্তরের আধিকারিকদের প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। কর আদায়ে সফল হলেও বিগত অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪-এ নিজস্ব আয় ০.৫ শতাশের বেশি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে রজ্যের ৩৫১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। বাদবাকি পঞ্চয়েতগুলি বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আগের বছরের তুলনায় নিজস্ব আয় প্রায় ১০ শতাংশ করে বৃদ্ধি করতে পেরেছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া মাপকাঠি অনুযায়ী কাজ করলে পঞ্চয়েতগুলিকে বিশেষ অনুদান দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিগত তিন বছর ধরে সেই মাপকাঠি ছুঁতে পারেনি বলে উঠে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবারের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন, রাজ্য অর্থ কমিশন সহ নানা খাতে পাওয়া টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারেনি ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার ফলও পাচ্ছে পঞ্চায়েতগুলি। ব্যর্থ পঞ্চায়েতগুলির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।’