পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সমস্ত বেসরকারি পশু ক্লিনিক ও হাসপাতাল। এমনই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। শহর কলকাতার এমনই একটি ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় নিজের পোষ্য বিড়ালের মৃত্যু হওয়ার পর বিষয়টি তাঁর নজরে আসায় তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। যে ক্লিনিকে তাঁর পোষ্যের মৃত্যু হয়েছিল তাদেরকেও মামলা পক্ষভুক্ত করেন। তাঁর আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ধরনের ক্লিনিক চলতে গেলে নির্দিষ্ট নিয়মে লাইসেন্স প্রয়োজন। এই ধরনের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে। কিন্তু সেই কেন্দ্রীয় আইন এরাজ্যে কার্যকর করা হয়নি। ফলে বিনা লাইসেন্সেই চলছে সমস্ত বেসরকারি ক্লিনিক। এই অভিযোগ শোনার কীভাবে এই ক্লিনিকগুলিকে আইনের আওতায় আনা যায় তা নিয়ে রাজ্যকে আগেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ওই ক্লিনিকের তরফে দাবি করা হয়, তাদের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। রাজ্য সরকার ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এ তাদের লাইসেন্স দিয়েছে। সেই লাইসেন্সেই চলছে ক্লিনিক। উল্লেখ্য, এই আইনে মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরির সংস্থান রয়েছে। বিষয়টি শোনার পরই বিস্মিত হন বিচারপতিরা। এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ১৬ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি।