পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
জয়েশ জঙ্গি আয়ুবের মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা দেখেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালানো ও মেসেজ আদানপ্রদানের জন্য একটি ক্লোজড গ্রুপ খুলেছে। দেখা যায়, ওই গ্রুপে বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছে আয়ুব। সোশ্যাল মিডিয়া খোলার জন্য যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি হাতে আসে এনআইয়ের। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়, এই নম্বর ব্যবহার করে কোনও অ্যাকউন্ট খোলা হয়েছে কি না। সেখান থেকে জানা যায়, হুগলির আরামবাগের মায়াপুর এলাকার সাবিরুদ্দিনের কথা। দেখা যায়, তার নামে নেওয়া সিম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে প্রতি সপ্তাহে পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা ঢুকেছে। যা এসেছে দুবাই, বাংলাদেশ, মালেশিয়া ও মায়ানমার থেকে। এমনকী কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গেও সাবিরুদ্দিনের লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। আয়ুব জেরায় তদন্তকারীদের জানায়, আরামবাগের ওই যুবক কাশ্মীর, হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন রাজ্যে যেত। সেখানে জঙ্গি সংগঠেনর স্লিপার সেলের সদস্যদের কাছে টাকা পৌঁছে দিয়েছে। এমনকী বিভিন্ন ই ওয়ালেটেও টাকা ট্রান্সফার করেছে। এই ওয়ালেটগুলি আসলে জঙ্গি সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের। তাদের মাধ্যমে টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের কাছে। পাশাপাশি আয়ুব এনআইকে জানায়, সে মাঝেমধ্যে স্লিপার সেলের সদস্যদের পাঠাত আরামবাগে। তারা কয়েকদিন এখানে কাটিয়ে ভিন রাজ্যে চলে যেত। তাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আরামবাগের ওই যুবকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাদের ভিন রাজ্যে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটও কেটে দিয়েছে ওই যুবক। এই তথ্য হাতে আসার পরই সাবিরুদ্দিনকে যুবককে ডেকে পাঠানো হয় এনআইএ অফিসে। অভিযুক্ত দাবি করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সে তাকে জানায় অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিলে কমিশন পাবে। বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাকা আসবে তার অ্যাকাউন্টে। বাড়তি টাকার লোভে সে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিয়েছিল। পাশাপাশি অন্যের নথি ব্যবহার করে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। কিন্তু এই টাকা যে জঙ্গি সংগঠনের, সে জানত না। যদিও তার বক্তব্য যাচাই করা হচ্ছে।