পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ধৃত বাপি তার স্ত্রীকে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তার বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়।
মৃতার বাবা বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় লোহার বলেন, শনিবার বিকেলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দেওয়া হয়। গিয়ে দেখি মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া জামাইয়ের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। তারপরেই পুলিসকে জানানো হয়। অভিযুক্তের চরম শাস্তি চাই।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারপুকুরের বাসিন্দা পেশায় ট্রাক্টরের চালক বাপির সঙ্গে ন’বছর আগে বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের তেজপাল এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কির বিয়ে হয়। তাঁদের একটি সাতবছরের মেয়ে রয়েছে। পিঙ্কি স্থানীয় একটি জুনিয়র হাইস্কুলে মিড ডে মিল রান্না করতেন। শনিবারও রান্না করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে বাড়ি ফিরে আসার পর বাপি তাঁকে নিয়ে জঙ্গলে কাঠ কাটতে যায়। সেখানেই শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে পিঙ্কিকে খুন করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে বাপি সন্দেহ করত। সে প্রতিদিন ভোর ৫টায় ট্রাক্টর নিয়ে বেরিয়ে যেত। রাতে ফিরত। তবে শনিবার সে কাজে যায়নি। বাড়িতেই ছিল। তাই সে তার স্ত্রীকে ওইদিন রান্নার কাজে যেতে নিষেধ করেছিল। তা না শুনে পিঙ্কি স্কুলে চলে যান। তখনই বাপির সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। তারপরেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে। দুপুরে ফেরার পরেই কাঠ কাটার নাম করে স্ত্রীকে নিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। সেখানে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দেহ কাঁধে করে নিয়ে বাড়ির উঠানে নামায়। পিঙ্কি আত্মহত্যা করেছে বলে সে বাড়িতে জানায়। পিঙ্কির বাপের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু, গোটা ঘটনার বর্ণনা এবং মৃতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। তারপরেই পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।