গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
নার্সিং কর্মিমহল সূত্রের খবর, হাসপাতাল বর্জ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সামগ্রীটি পুনর্ব্যবহার জন্য বাইরে পাচারের আশঙ্কা থাকে, সেটি হল সিরিঞ্জ। এই ধরনের সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে এইডস, হেপাটাইটিস বি, সি সহ রক্তবাহিত বিভিন্ন প্রাণঘাতী অসুখ ও সংক্রমণের প্রভূত আশঙ্কা থাকে। সেজন্য ব্যবহৃত সিরিঞ্জ নষ্ট করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে। প্রথমত, সিরিঞ্জের সূচ বেঁকিয়ে দেওয়া। কারণ একবার বেকিয়ে দেওয়া হলে সেগুলি পুনর্ব্যবহার প্রায় অসম্ভব বলে ধরা হয়। দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে সূচটি পুড়িয়ে দেওয়া। তৃতীয়ত, সিরিঞ্জের গোড়া কেটে দেওয়া। শেষের দুই ধরনের কাজ করা হয় নিডল ডেসট্রয়ার এবং কাটারের মাধ্যমে।
এক সিনিয়র নার্স জানালেন, বর্তমানে পুনর্ব্যবহার আটকাতে সিরিঞ্জের সূচ বেঁকিয়ে নিডল ডেসট্রয়ার ব্যবহার করে শুষ্ক জীবাণুমুক্ত জারে ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তা সংগ্রহ করে চিকিৎসা বর্জ্য রাখার লাল ব্যাগে রাখতে হয়। মেডিক্যাল ওয়েস্ট আদর্শ নিয়ম মেনে বাতিল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা তা সংগ্রহ করে নষ্ট করে দেয়। আর জি কর সূত্রের দাবি, স্যালাইনের বোতল, সিরিঞ্জ, সূচ, প্লাসেন্টা, মৃতদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সহ নানা ধরনের চিকিৎসা বর্জ্য পাচারকে কার্যত শিল্পে পরিণত করে ফেলেছিলেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। আর সেই কারণেই চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে নার্সদের একথা বলতেও বাধেনি তৎকালীন অধ্যক্ষের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২০২১ সাল থেকে ২০২৩—এই দু’বছর এসব মেডিক্যাল ওয়েস্ট পুনর্ব্যবহারের চক্র চালিয়ে গিয়েছেন সন্দীপ ঘোষরা। ’২৩-এর শেষদিকে আসে সূচ পোড়ানো, নয়ত সিরিঞ্জের মাথা কেটে ফেলা দেওয়ার যন্ত্র। সতর্কতার নতুন পদ্ধতি। ততদিনে কত কেজি চিকিৎসা বর্জ্য পাচার হয়ে যে কত হাজার মানুষের ক্ষতি হয়েছে, ঈশ্বরই জানেন!