একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এসএসসির চাকরিহারা ইস্যু এবং সন্দেশখালিতে সিবিআই-এনএসজি’র অভিযান নিয়েও সুর সপ্তমে তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধ হচ্ছে। ওখানেই যে বোমাগুলো ছিল, তার কী প্রমাণ আছে! এমনও হতে পারে ওঁরাই গাড়িতে করে তা এনেছেন। রাজ্য পুলিসকে জানানো হয়নি। আমি খবর পেয়েছি, হাসনাবাদে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বিজেপি ভাবছে, বোমা মেরে, চাকরি খেয়ে নির্বাচন জিতে যাবে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। বেকারত্বের নিরিখে দেশের থেকে ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলা। তাও তো তোমরা চাকরিগুলো খেয়ে নাও!’ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমার কাছে ১০ লক্ষ চাকরি রেডি আছে। কিন্তু দিতে পারছি না। কারণ রাম, বাম আর শ্যাম তিনজন মিলে যখন তখন মহাতীর্থ চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে বেল বাজাচ্ছে। ব্যাস... চাকরি খারিজ।’ মমতার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছেন, তৃণমূল সরকারের জন্য বাংলায় উন্নয়ন হয়নি। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে ওঁনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, জিডিপি গ্রোথ দেশের ৮.৮৭ শতাংশ, বাংলায় ১১.৮৪ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হার দেশে ১.৮২ শতাংশ, বাংলায় ২.১১ শতাংশ। শিল্পক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নের হার ৫.৪, বাংলায় ৭.৪। আসলে বিজেপি জেনে গিয়েছে তাঁরা ২০০র বেশি আসন পাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। আমাদের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটই সরকার গড়বে। ভোট মিটতেই আমরা বিরোধীরা আলোচনা করে সরকার গড়ব।’
তিনি বলেন, ‘রেশন আমরাই দিচ্ছি। বছরে রাজ্যের দেওয়ার কথা ৯ হাজার কোটি ও কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, দু’বছরে কেন্দ্রের ১৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা আমাদেরই দিতে হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ভাগের ১৮ হাজার কোটিও দিয়েছি। আমাদের তরফে ফ্রি’তে দেওয়া রেশনের চাল ফুটছে মোদিবাবুর হাজার টাকার গ্যাসে। আমরাই একমাত্র সরকার, যারা পেনশন দিই।’ মমতার কটাক্ষ, ‘মোদিজি, জনতা এবার আপনার দামটাই কমিয়ে দিয়েছে। তা বুঝবেন ভোটের ফলে...।’