একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিদ্বেষ ভাষণে বিজেপিকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন। আদর্শ নির্বাচন বিধি কার্যকর রয়েছে, তারই মধ্যে নির্বাচনী জনসভায় কেন সীমার বাইরে গিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে, তার জবাব চাইল কমিশন। সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে এর জবাব দিতে হবে। নরেন্দ্র মোদি আদর্শ নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলেই অভিযোগ।
২১ এপ্রিল রাজস্থানে নির্বাচন সভায় সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বিদ্বেষ ভাষণ দিয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস, সিপিআই এবং সিপিআইএমএল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন নোটিস ইস্যু করতে বাধ্য হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। ২০১৯ সালেও নির্বাচনী জনসভায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মোদি। কিন্তু কমিশন সেসময় কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নামে অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। একটা নয়, ছ’টা। স্রেফ রাজস্থানের সভা নয়, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের সভাতেও আদর্শ নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই, তবে বিজেপি সভাপতির কাছে জবাব চেয়েছে, মোদি নন। বিদ্বেষ ভাষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নোটিস পাঠাতে হচ্ছে, এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই দাবি করেন জয়রাম। বলেন, এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী সভায় এত নিম্নরুচির ভাষণ দেননি। মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী বলে অপমান করেছেন। আসলে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ১০২ আসনের ভোটের পরেই নরেন্দ্র মোদি চাপে পড়ে গিয়েছেন। বুঝে গিয়েছেন, ভোট বিজেপির দিকে যায়নি। একইভাবে শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ৮৮ আসনের ভোটও বিজেপি বিরোধী হবে। আর তা আন্দাজ করেই মেরুকরণের রাজনীতি করছেন। ৪০০ পার, মোদি গ্যারান্টি সব উধাও।
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জনসভায় আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনে বিজেপির অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই এ ব্যাপারে কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের কাছে জবাব চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কেন মোদি-রাহুলকে সরাসরি নোটিস নয়? কমিশন অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি।