একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন পুরুলিয়া শহরে নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক করেন। চাকরি হারানো প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ম্যাচ ফিক্সিং দেখেছেন? আগে থেকেই বলে দেয়, কোন বলে কে আউট হবে, কে ছক্কা হাঁকাবে। আর সেই মতোই সব হয়। আদালতেও সেই রকম অর্ডার ফিক্সিং হচ্ছে। কী অর্ডার হবে, আগেই বলে দেওয়া হচ্ছে। এই রায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। হাইকোর্টের ওই অর্ডারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিজেপির স্ট্যাম্প রয়েছে।
অভিষেক বলেন, যেভাবে কিছু অনিয়মকে সামনে রেখে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি, তেমনই ১০০০ বা ১৫০০ জন প্যানেলের বাইরে চাকরি পেয়েছে বলে পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, একজন বিচারপতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে তো আমি বলছি না, যে সব বিচারপতি বিজেপি হয়ে গিয়েছেন। যোগ্য চাকরি হারাদের বলব, কেউ বিব্রত হবেন না। তৃণমূল কংগ্রেস দলগতভাবে আগেও যোগ্যদের পাশে ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আগামী ৪ জুন সাধারণ মানুষের জয় হবে। চক্রান্তকারীরা পরাজিত হবে।
অভিষেকের পাশাপাশি এদিন একই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মহিষাদলের সভামঞ্চ থেকে সুর চড়ান। মুখ্যমন্ত্রী দলবদলু নেতার উদ্দেশে বলেন, এই রায়টা ওইদিন বের হবে, সেটা তুমি ৪৮ঘণ্টা আগে জানলে কী করে? তার মানে তুমি কী রায়টা লিখে দিয়েছিলে? না তোমার পার্টি অফিস থেকে লিখে দিয়েছিল? এই ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ায় আড়াই লক্ষ মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। একজনের কিছু হলে তোমার বাড়ির সামনে যাবে। ওরা বিচার চাইবে। চাকরিহারাদের মধ্যে মেদিনীপুরেরও অনেকে আছেন। আমিও এর শেষ দেখতে চাই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। তিনি আরও বলেন, এখানকার বিজেপি প্রার্থী কথায় কথায় চাকরি খেতেন। চাকরি খাওয়ার জন্য যিনি প্রথম সই করেছিলেন সেই মানুষটা তমলুকে দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বিচারকের আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। বিচারকের চেয়ারে বসে চাকরি খেতেন। উনি বিচারালয়ের কলঙ্ক। যেসব পরিবারের চাকরি খেয়েছেন, তাদের পরিবারের লোকজনকে প্রচারে এনে দুঃখের কথা শেয়ার করব। তিনি উপস্থিত জনতার কাছে জানতে চান, ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি খাওয়াটা কী গর্বের? আপনারা সমর্থন করেন? জনতার জবাব,‘না’।