আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বিশেষ নাকা চেকিং চলছিল ক্রান্তির মসজিদ মোড়ে। সেসময় বিজেপির মাল বিধানসভার কনভেনর রাকেশ নন্দীর গাড়ি দাঁড় করানো হয়। গাড়িতে তল্লাশি করে পুলিস। সেসময় চালকের পাশের আসনে সিটের তলায় লুকনো একটি প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগ থেকেই মেলে নগদ ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে যথাযথ হিসেব তিনি দিতে পারেননি। ওই বিজেপি নেতা জানান, মাল বিধানসভা এলাকায় ভোটের কাজে ব্যবহার করার জন্যই টাকাটা দিয়েছিলেন জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী দীপা বণিক। এরপর পুলিস তদন্তে নেমে দীপা বণিকের গাড়ি থেকেও ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে।
জেলার পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই জেলাজুড়ে নাকা চেকিং চলছে। শনিবারও একটি বিশেষ নাকা চেকিংয়ের সময় নগদ ৯ লক্ষ ৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁরা কেউই ওই টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি বা কোনও নথি দেখতে পারেননি।
জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি ভূরিভূরি মিথ্যা, কুৎসা, প্ররোচনার পাশাপাশি বিজেপির অন্যতম ভোটঅস্ত্র টাকা। শনিবার রাতে তা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে গেল। সরব হয়েছেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্তও। তাঁর বক্তব্য, আমরা তো আগাগোড়া বলেছি বিজেপি টাকা লুটে পারদর্শী। ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলেছে। এখন ভোটারদের প্রভাবিত করতেই ভোটের দিন কয়েক আগে নগদ টাকা নিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করেছে ওরা। নির্বাচন কমিশন নজরদারি রাখলে আরও হিসেব বহির্ভুত টাকা উদ্ধার হবে। যদিও এ নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ করেননি। মেসেজেরও জবাব মেলেনি। তবে জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, আমরা খোঁজখবর করছি। পরে যা বলার বলব। বিজেপির জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী দীপা বণিকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি, মেসেজেরও উত্তর পাওয়া যায়নি।