সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কিন্তু, তাঁদের কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যা পূরণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা লাবনী রায় এবং শ্যামল রায় একযোগে বলেন, দিল্লির সরকার বলেছিল, বাংলাদেশে যে বা যাঁরা জমিজমা ছেড়ে আসছেন, সেগুলির দাম আদায় করতে সহযোগিতা করা হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে থাকা জমি বিক্রি করতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লি। শ্যামলবাবু আরও বলেন, আড়াই বিঘে জমি ছিল বাংলাদেশে। সব ছেড়ে চলে আসতে হয়। টাকা তো পেলামই না। উল্টে এখানে সংসার টানতে সামান্য কাঠের কাজ করতে হচ্ছে। রঞ্জিত বর্মন বলেন, গোয়ালঘর বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, গোরু মেলেনি। যে আবাসনে তাঁরা থাকছেন, তার কোনও নথিও তাঁদের কাছে নেই। এদেশে এসে জমি বা কাজ মেলার আশা করেছিলাম, কিন্তু কোথায় কী! লাবনী রায় বলেন, দিল্লি থেকে নেতা-মন্ত্রী এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এককালীন ৫ লক্ষ টাকাও দেওয়া হবে। তাও মেলেনি আজ পর্যন্ত। আরেক বাসিন্দার কথায়, জমির দাম মেলা, কাজ পাওয়া তো দূরের কথা, যে আবাসনগুলিতে থাকছি, সেখানে জলের লাইন পর্যন্ত নেই। বাড়িতে থাকার নথি নেই, অথচ বিদ্যুতের বিল দিতে হচ্ছে। এখন অনেক সময় শুনছি, সিএএ’তে ফের নাগরিকত্বের আবেদন করতে হবে। কিন্তু, কেন করব? আমরা আন্তর্জাতিক চুক্তিতে এদেশে এসেছি। ভারত সরকার অতিথি আপ্যায়নে আমাদের এনেছে। তাহলে নাগরিকত্বের প্রশ্ন উঠছে কেন? সিএএ-এনআরসি নিয়ে ভয় পাইনি। আবেদনও করব না। এক বাসিন্দা খলিলুর রহমানের কথায়, শুধু নিজেদের হকের অধিকার ফিরে পেতে চাই। একইসঙ্গে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লি, সেটা যেন পূরণ হয়, এটাই তাঁদের একমাত্র আবেদন।