পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের মুখে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। তা নিয়েই শোরগোল চলছে দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে। মোদি সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রবল ধোঁয়াশা। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সহ উদ্বাস্তুদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আতঙ্কে এক যুবকের আত্মহত্যার খবরও সামনে এসেছে। তার মধ্যেই এমন আজব শংসাপত্রের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কী নথি লাগবে তা নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল আগ্রহ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ কেন্দ্রীয় হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেছিল ‘দ্য হিন্দু’। আবেদনকারীর ধর্মীয় ‘যোগ্যতা সার্টিফিকেটে’র ফরম্যাট নিয়ে প্রশ্ন করে তারা। উত্তরে বলা হয়, কোনও সাদা কাগজে বা ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে তা দেওয়া যাবে। কিন্তু কে বা কারা তা দিতে পারবেন? হেল্পলাইনে জানানো হয়, কোনও স্থানীয় পুরোহিত সেই শংসাপত্র দিতে পারবেন। একটি সূত্র ওই সংবাদপত্রকে আরও জানিয়েছে, মানুষের আস্থা রয়েছে, এমন কোনও প্রতিষ্ঠানও ওই শংসাপত্র দিতে পারবে। তবে নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুরের ব্যাপারে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একটি এমপাওয়ার্ড কমিটি। স্থানীয় প্রতিষ্ঠান শুধু আবেদনকারীর ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে সুপারিশ করতে পারে মাত্র।
সিএএ বিধির ৬বি ধারা অনুসারে, ওই সার্টিফিকেট ছাড়াও আরও দু’টি সহায়ক নথি জমা দিতে হবে। সেই দু’টিই হলফনামা। প্রথমটি দিয়ে আবেদনকারীকে জানাতে হবে, তাঁর দেওয়া তথ্য সঠিক। আর একটিতে আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিতে হবে একজন ভারতীয় নাগরিককে।