পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শর্তসাপেক্ষে অনলাইন ভর্তি শুরু করে দিয়েছে। পড়ুয়াদের আপাতত ভর্তি হয়ে থাকতে হচ্ছে। ফল প্রকাশ হলে তার ভিত্তিতে ভর্তি চূড়ান্ত হবে। অনেকেই মনে করছেন, টাকা দিয়ে একবার ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর সবাই কি আর সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে ফিরে আসতে রাজি হবেন? তা না হলে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে আসন আরও বেশি ফাঁকা যাবে। ইঞ্জিনিয়ারিং বা ফার্মেসির মতো পেশাদার কোর্সগুলির ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক হবে না। রাজ্য জয়েন্ট ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিটে গেলেও বোর্ড ফল প্রকাশ করতে পারছে না। কারণ, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়নি। তাছাড়া সরকারি অনুমতিও নেই। এই অবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি আপাতত অনিশ্চিত। ফলপ্রকাশ করে ভর্তি সেরে রাখলেও স্বস্তি নেই। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এবং নিট এতটাই দেরিতে হচ্ছে যে, সেগুলির ফলপ্রকাশের পর রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ছেড়ে যখন ছাত্রছাত্রীরা অন্য রাজ্য বা কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে চলে যাবে, তখন আর সেই শূন্য আসন পূরণের কোনও উপায় থাকবে না। এসব ঠেকাতে ভর্তির জন্য একটি সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করুক সরকার, চাইছে শিক্ষামহল। এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বাঁচে, সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো অপচয় না হয় এবং ছাত্রছাত্রীরাও সমস্যায় না পড়েন।