পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সবসময় বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার পাশে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্যের প্রায় দেড় লাখের বেশি পরিবহণ শ্রমিকের কথা মাথায় রেখে তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলায় জেলায় আরটিও’র মাধ্যমে এই নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে বেসরকারি বাস শ্রমিকদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই নবান্ন আশা করে, বেসরকারি বাস পরিবহণ আরও বেশি করে সচল হোক। যদিও মালিকদের যুক্তি, ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত যাত্রী না মেলায় বাস চালিয়ে লোকসান হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ভিনরাজ্যে যাওয়া কিংবা জেলার অসংখ্য চালক-কন্ডাক্টর এখনও ফেরেনি। তাই কর্মীর অভাব রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের মতো বাস নামানো তাই চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, যাত্রীদের থেকে যেমন খুশি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আইনত এটা করা যায় না। কারণ, ভাড়া আমরা বাড়াতে পারি না। তাই বেশি ভাড়া যারা দাবি করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি সুরজিৎ সাহা অবশ্য এর মধ্যে আশার কথা শুনিয়েছেন। তাঁর দাবি, সোমবার থেকে কলকাতার বুকে ওই সংগঠনের ৮০০-রও বেশি বাস নামবে। গত শুক্রবার সেই সংখ্যা ছিল সাড়ে পাঁচশোর কাছাকাছি। তাঁর দাবি, যাত্রী কম থাকায় চালক-কন্ডাক্টরদের আয় প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তাই অনেকে গাড়ি চালাতে চাইছেন না। তবু আমরা সংগঠনগতভাবে রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে যতটা বেশি সম্ভব বাস নামানোর চেষ্টা করছি।