পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, রাজ্যে করোনার জেরে মোট মৃত্যুর ৯২ শতাংশের বেশি নথিভুক্ত হয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী ৪ জেলায়। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৪১০ জন। উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ১১৪ এবং ১০৭ জন। সংক্রমণের হারও এই তিন জেলায় সর্বাধিক। পাশাপাশি, এদিন পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩০ এবং হুগলিতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং জেলাতেও তুলনামূলকভাবে বেশি মানুষ (১০ জন) মারা গিয়েছেন। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে নবান্নের। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এক সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে এব্যাপারে সমীক্ষা করা হয়েছে বলে খবর। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আক্রান্তদের বাড়িতেই হোম আইসোলেশন ইউনিট গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গ থাকা আক্রান্তদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার গাইডলাইন আগেই দিয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, এবার করোনা পজিটিভ রোগীর বাড়িতে ফোন করে হোম আইসোলেশন ইউনিট গড়ার কথা জানাবে স্বাস্থ্যদপ্তর। রোগী কোয়ারেন্টাইন পরিষেবায় ভর্তি হতে চাইলে, সেব্যাপারেও সাহায্য করবে সরকার। নবান্নের ওই শীর্ষ কর্তা আরও বলেন, কারও করোনা হলে সেই ব্যক্তি বা তার পরিবারকে যেন অচ্ছুৎ করা রাখা ঠিক নয়। এটি একটি রোগ। চিকিৎসায় সেরেও যায়।
অন্যদিকে, সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে করোনা ওয়ারিয়র্স ক্লাবের সদস্য হয়েছেন ৭০ জন। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের মনোবল বাড়াতে যাবেন। সরকারি সূত্রে খবর, এর মধ্যে ৪০ জন কলকাতায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন। সোমবারই ৩০ জন সল্টলেক স্টেডিয়ামে আসবেন।