পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকজন কর্মীর করোনা ধরা পড়ায় বিধাননগরে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের জোনাল অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীবৃদ্ধি ভবনে এসবিআই-এর কয়েকজন পদস্থ কর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বহু কর্মী ও অফিসার আসছেন না। এদিকে, এসবিআই-এর কলকাতার প্রধান কার্যালয় সমৃদ্ধি ভবনের কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরও করোনা ধরা পড়ায় তাঁরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
রাতে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এদিন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার পার করা এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৭ হওয়ার কথাও বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নন-করোনা চিকিৎসা পরিষেবা চালুর দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ চলে। তাঁদের বক্তব্য, যদি অন্যান্য বিভাগ না চলে এবং এমসিআই অনুমোদন তুলে নেয়, তখন সাধারণ রোগীদের ভোগান্তি হবে। তাঁদেরও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার পড়বে। একই দাবিতে এদিন স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তাদের স্মারকলিপি দেয় এসইউসিপন্থী চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম। স্বাস্থ্যভবনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, এই মুহূর্তে কো-মরবিডিটি থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার শ্রেষ্ঠ জায়গা হল মেডিক্যাল কলেজ। কারণ, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আছেন। সরকার ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে রাজ্য সরকার সংক্রামক ব্যাধিতে ডিএম পাঠ্যক্রম চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে দুপুরে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো সহ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সূত্রের খবর, আইডি, মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ—এই চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতে সংক্রামক ব্যাধির সর্বোচ্চ ডিএম ডিগ্রির দুটি করে আটটি আসন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। জলপাইগুড়ির ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি’র ক্ষেত্রে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা মানছে না—এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।
নারকেলডাঙায় চলছে পরীক্ষা। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।