কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
জেল সূত্রের খবর, মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে জঙ্গি হানার ‘মূলচক্রী’ সাজাপ্রাপ্ত আফতাব আনসারি, খাদিমকর্তা অপহরণ মামলায় তিন পাকিস্তানি অপরাধী সহ একাধিক সন্ত্রাসবাদীদের সেলেই আর পাঁচটা অপরাধীদের চেয়ে কিছুটা নিরাপত্তা জোরদার থাকে। কিন্তু জানা গিয়েছে, এই বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এইসব সেলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। কারণ অনেকেরই অভিযোগ, আফতাব আনসারির মতো ‘হাইপ্রোফাইল’ বন্দি আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে থাকাকালে তার সেল থেকে পাওয়া গিয়েছিল স্যাটেলাইট ফোন। গোয়েন্দারা তদন্ত করে জানতে পেরেছিলেন, উন্নত মানের ফোন থেকেই আন্তর্জাতিক ওই অপরাধী করাচিতে নিয়মিত কথোপকথন চালাত। পরে পুলিস ওই ফোন বাজেয়াপ্ত করে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও দায়ের করা হয় আফতাবের বিরুদ্ধে। জেলের কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, অতীতের কথা চিন্তা করেই ওই জঙ্গিদের মতো সেলগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ধরনের বিশেষ দিনগুলিতেও নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।
বর্তমানে বারাসত, হাওড়া, আলিপুর, কলকাতা নগর দায়রা কোর্টে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসবাদী মামলা। সেই মামলায় আছে প্রচুর সংখ্যক অভিযুক্ত। সেই সংক্রান্ত মামলায় বর্তমানে কোনওটার বিচার প্রক্রিয়া চলছে, আবার কোনওটার বিচার শেষের পথে। ফলে এই সব বন্দি আছে প্রেসিডেন্সি, হাওড়া, দমদম প্রভৃতি জেলে। স্বাভাবিকভাবেই অন্য জেলের মতো এই সমস্ত সংশোধনাগারেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সব বন্দিদের জেল থেকে কোর্টে আসা যাওয়ার পথে বাড়তি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিদের বারুইপুরে স্থানান্তর করার পর বর্তমানে এই জেল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তবে জেল চত্বরে রয়েছে কিছু নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু ফাঁকা থাকলেও যেহেতু এই জেলে একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি বিজড়িত সেল রয়েছে, তাই এই ফাঁকা জেলেও প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ও পরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিস।