কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
অনেকেই মনে করছেন, যে উপলক্ষে এই ছুটি দেওয়া হচ্ছে, সেই পুজোর দিনই তা পেলেই ভালো হতো। সেক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবারের ছুটিটা দেওয়া যেতে পারে বুধবার। স্কুলগুলিতে আবার অন্য সমস্যা। তাদের পুজো করতে হয়। এক প্রধান শিক্ষক বলেন, বৃহস্পতিবার অনেক আগে তিথি ছেড়ে যাচ্ছে। অত তাড়াতাড়ি বাড়িতে পুজো করা সম্ভব হলেও স্কুলের ক্ষেত্রে তা করা খুব কঠিন। তাই ২৯ জানুয়ারিই পুজো করতে হচ্ছে। সেদিন ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা নেওয়ার জন্য রোল কল করা হবে। শিক্ষকরাও হাজিরা খাতায় সই করবেন। খাওয়াদাওয়াও হবে ওইদিন। ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি স্কুল বন্ধ থাকবে। কিছু স্কুল আবার ৩১ জানুয়ারির ছুটিটা হাতে রেখে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, গুপ্ত প্রেস অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে পঞ্চমী শেষ হচ্ছে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়টা ১টা ২০ মিনিট। সর্বভারতীয় প্রাচ্য বিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ ডাঃ জয়ন্ত কুশারীর মতে, শুক্লাপঞ্চমী ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে শুরু হচ্ছে। ওইদিনই পুজোর জন্য সর্বোৎকৃষ্ট। ৩০ জানুয়ারি সূর্য ওঠার সময় তিথি থাকবে। তাই সেদিনও পুজো করার যুক্তি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
শিক্ষক নেতা সৌদীপ্ত দাস বলেন, সরকারি ছুটির নির্দেশিকা অনুযায়ী পর্ষদ ছুটির তালিকা তৈরি করেছে। বহু স্কুল আবার ২৯ জানুয়ারি খোলা রেখে পুজো করলেও রোল কল করাবে। অর্থাৎ একটি কর্মহীন কর্মদিবস বাড়বে। এনিয়ে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি (অ্যাকাডেমিক)-কে আমরা জানিয়েছি। পর্ষদ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলে সেই কর্মদিবস নষ্ট হবে না। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটির তালিকা দেওয়া হয়েছে। কোনও স্কুল ২৯ জানুয়ারি খোলা রেখে পুজো করছে বলে এখনও অভিযোগ পাইনি। তবে, এটা খতিয়ে দেখছি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২৯ জানুয়ারি ছুটি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।