কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পর্যটন শিল্পে এই জোয়ারের কারণ ট্যুইটবার্তায় ব্যাখ্যাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরপর দু’টি ট্যুইটবার্তায় মমতা লিখেছেন, আজ জাতীয় পর্যটন দিবসে আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, রাজ্যে বিদেশি পর্যটক আসার (এফটিএ) পরিমাণ তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সব মেট্রো শহরে এফটিএ’র ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে রয়েছে কলকাতা। তিনি লিখেছেন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, হোম স্টে’র প্রসার এবং দুর্গাপুজোর মতো উৎসবকে ব্র্যান্ডিং করাটাই পর্যটক টানার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। কলকাতা তথা রাজ্য বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত ৮ বছরে পর্যটন প্রসারে বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে এখন তাদের আওতায় পর্যটক আবাস রয়েছে ৩২টি। নতুন ন’টি পর্যটক আবাস তৈরির কাজ চলছে। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ক্ষমতায় আসার দিন থেকেই সব দপ্তরের সঙ্গেই আলাদা করে পর্যটন শিল্পের প্রসারের উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাকে দেশের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করতে যাবতীয় পরিকল্পনা তাঁরই নেওয়া। নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র, পর্যটক আবাস তৈরি এবং হোম স্টে’র প্রসারের মতো নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা দেশের মধ্যে কলকাতায় বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হওয়াটা তাঁর এই পর্যটন নীতির সাফল্য। ইন্দ্রনীল বলেন, এখন দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে গোটা রাজ্যে ৭০০ কামরা রয়েছে বিভিন্ন পর্যটক আবাসে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সেই সংখ্যা ১০০০ হয়ে যাবে। পর্যটন কেন্দ্রিক পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গেই প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়াটাও দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে রাজ্যকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত পর্যটক আবাসে এখন অনলাইনে কামরা বুকিং হয়। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত রাজ্যের সব পর্যটন আবাসে বুকিং প্রায় সম্পূর্ণ। বুকিংয়ের এই চাহিদাও পর্যটন শিল্পের প্রসারে রাজ্যের বর্তমান অবস্থানকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে।