কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সম্মেলন থেকে কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় দেশের মনোরোগ চিকিৎসকদের সর্ববৃহৎ এই সংগঠন। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল—এক, অটিজমের চিকিৎসায় স্টেম সেলের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। দুই, স্কুলপড়ুয়াদের হাত দেখে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন ভবিষ্যতের কেরিয়ার বলার বাজারচলতি পদ্ধতি ডার্মাটোগ্রাফিক্স-এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
এদিন ‘ফিজিশিয়ান-সাইকিয়াট্রিস্ট ইন্টারফেস’ নামে এক আলোচনারও আয়োজন করে সংগঠনটি। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ফিজিশিয়ান ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট গ্যাসট্রোএনটেরোলজিস্ট ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিশিষ্ট হার্ট সার্জেন ডাঃ কুণাল সরকার প্রমুখ। ছিলেন আইপিএস-এর এই অনুষ্ঠানের যুগ্ম অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ডাঃ রণদীপরঞ্জন ঘোষ রায়, সর্বভারতীয় জার্নাল-এর সম্পাদক ডাঃ ও পি সিং, আত্মহত্যা নিবারণকারী কমিটির সর্বভারতীয় আহ্বায়ক ডাঃ সুজিত সরখেল প্রমুখ। মনের অসুখ এবং বন্ধ্যত্বের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণাপত্র পেশ করেন ডাঃ বৈদ্যনাথ ঘোষ দস্তিদার।
ডাঃ সিং বলেন, আমাদের বেশ কয়েকটি লক্ষ্য রয়েছে। মনের রোগের চিকিৎসকপিছু রোগীর সংখ্যা এখন নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। অথচ অসুখ নিয়ে সর্বস্তরে প্রচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। রোগভেদে অন্তত ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। গ্রামে-গঞ্জে অনেকে ডাক্তারের কাছে যেতেই পারেন না। তাছাড়া অনেকে যেতে সঙ্কোচও বোধ করেন। নানা কারণে ওষুধ খেতে ভুলে যায় একাংশের রোগী। এইসব চিন্তা করেই আইপিএস মেন্টাল হেলথ অ্যাপ আনতে চলেছে শীঘ্রই। পিজি’র ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রি’র সহযোগী অধ্যাপক সুজিতবাবু বলেন, আইআরডিএ বছরখানেক আগে স্বাস্থ্যবিমায় মনের রোগের চিকিৎসাকেও অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবারের সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়েও জোরদার দাবি তুলেছি আমরা। রণদীপরঞ্জনবাবু বলেন, মনের অসুখ সচেতনতায় সম্মেলনের শুরুতেই আমরা পদযাত্রার আয়োজন করেছিলাম। তাতে বিপুল সাড়া মিলেছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের।