পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
লিজের ঘটনা সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এবং মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক এককাট্টা হয়েছেন। তাঁরা মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সেখ আবু তাহের কামরুদ্দিনকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, লিজবাবদ অগ্রিম হিসেবে বহু লক্ষ টাকা এবং মাসিক ২৬ হাজার টাকা করে ছ’মাসের ভাড়াও নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে আপত্তি উঠতেই ওই সংস্থাকে ভবনটি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সেই সংস্থাটিও পাল্টা মামলা করেছে। তাদের আইনজীবী ভাস্কর রায় বলেন, ‘টাকা দিয়ে লিজ নেওয়া ভবন থেকে কাউকে রাতারাতি উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া যায় না। আইনমাফিকই এগতে হবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনকে। তাই মামলা করা হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, দোতলা ভবনটি সরকারের এমএসডিপি অনুদানের টাকায় ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের আওতায় তৈরি হয়েছিল। সেটিই তুলে দেওয়া হয়েছে এই বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে। এক শিক্ষক জানান, হস্টেলের কিছু ছোটখাটো দুর্নীতির কথা সামনে আসছিল। তা ধরতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে এল। মাদ্রাসার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের গোটা হস্টেলটিই বেহাত হয়ে গিয়েছে। এখন আইনের গেরো কাটিয়ে সেই ভবন ফেরত পেলে হয়!
এ বিষয়ে ফোন করা হলে মাদ্রাসা সভাপতি বলেন, ‘আমি বাইরে, ট্রেনে আছি। অফিসে এলে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারব।’ মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট বা সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্টকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি। ডিআই বাদল পাত্র জানান, তিনি ঘটনার কথা এখনও কিছু শোনেননি। জেলায় মাদ্রাসা শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পূর্ণিমা দে বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখব।’ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক পুরো টাকাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাদ্রাসার ফান্ডে জমা দিতে চেয়েছেন। তবে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দাবি, ওই ভবনটি ফেরানোর ব্যবস্থা আগে করতে হবে। সেই সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ের প্রয়োজনীয় খরচও বহন করতে হবে অভিযুক্তকে।