পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ওই বাড়ির দোতলায় থাকেন ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বিকট শব্দে কষ্ট হয় তাঁর। দিনের পর দিন রাত ১০ টার পর ওই বাড়ির নীচেই আসর বসায় কয়েকজন স্থানীয় যুবক। শুধু তাই নয়, বহিরাগত কয়েকজন সেই আসরে যোগ দেয়। প্রতিদিন বদলে যায় সেই বহিরাগতরা। মোবাইল ফোন থেকে ‘ব্লু টুথ’ দিয়ে তারস্বরে গান চালানো হয় স্পিকারে। আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধার। প্রাথমিকভাবে তাদের গান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন বৃদ্ধার ছেলে দীপঙ্কর সেনগুপ্ত। অভিযোগকারীদের দাবি, সেই অনুরোধ কানে তোলেনি তারা। ফের রাস্তায় বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানান দীপঙ্কর। সেই সময় দু’পক্ষের বচসা হয়। এরপর মদ্যপ অবস্থায় তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। স্বামীকে বাঁচাতে আসেন গৃহবধূ। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারতে মারতে বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা। মুখে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দীপঙ্করবাবুকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে তিনি নেতাজিনগর থানায় যান অভিযোগ জানাতে।
দীপঙ্করবাবুর অভিযোগ, থানায় গেলে পুলিস আমাদের হয়রানি করে। পুলিসের ভূমিকায় মোটেই সন্তুষ্ট নন তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রেও উদাসীন পুলিস। অভিযোগ করার পরেও কোনওরকম আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পর একাধিকবার হুমকি বার্তা আসায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে দম্পতি। তাঁদের কথায়, ‘আমরা দু’জনেই চাকরি করি। বাড়ি ফাঁকা থাকে। রাস্তায় বের হলে ফের আমাদের উপরে হামলা হতে পারে। পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’ পুলিস সূত্রের দাবি, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।