পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনতলা বা চারতলার প্ল্যান অনুমোদন করিয়ে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক তল নির্মাণের উদাহরণ বরানগরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তাছাড়া, অনুমোদিত তল না বাড়ালেও কার্নিস ও ফ্লোর এরিয়া বাড়িয়ে নির্মাণের ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রভাবশালীদের মদতে প্রোমোটারদের নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা চলছে। আবাসন একবার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আয় বাড়ানোর ‘অজুহাতে’ পুরসভার ‘রিভাইজড প্ল্যান’ পাস করে দেওয়ার রীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কোনও ‘রিভাইজড বিল্ডিং প্ল্যান’ অনুমোদন করছেন না চেয়ারম্যান। তাতেও অবৈধ বহুতলের কাজ বন্ধ করা যাচ্ছে না। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এন কে চ্যাটার্জি লেনের ওই আবাসইি যেমন তার এক বড় প্রমাণ।
গত ২৩ এপ্রিল এলাকার বাসিন্দারা ওই আবাসনের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, বেআইনিভাবে পাঁচতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে নিয়ম মেনে ছাড় দেওয়া হয়নি। রাস্তা দখল করে নির্মাণ কাজ চলছে। পুরসভা কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও কেউ কানে তোলেনি। এখন ওই পাঁচতলা আবাসন তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ‘বর্তমান’-এ সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে পুরসভা। শুক্রবার থেকে ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করেছে তারা। একইভাবে তিন নম্বর ওয়ার্ডের দিলীপ গাঙ্গুলি সরণির আটফুট রাস্তার উপর চারতলা বাড়ির প্ল্যানে পাঁচতলা বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। সমস্ত নথি নিয়ে সেই নির্মাণকারীকে পুরসভায় যাওয়ার জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে।