একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
সকালে পানিহাটি পুরসভার আট, নয় ও ১০নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মহাজাতি নগর সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি ও আট নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সৌগতবাবুকে ডাব দেওয়া হয়। সৌগতবাবুকে অনেকেই বলেন, ‘আপনাকে সারা বছর পাই। এখন না এলেও চলবে। ভোট আপনি পাবেন। গরমে সাবধানে ঘোরাঘুরি করুন।’ প্রচারের ফাঁকে সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌগতবাবু বলেন, ‘যেই রাখুক না কেন বেআইনি অস্ত্র ধরা তো পুলিসের কাজ। এটা পুলিসেরই অপদার্থতা।’ অন্যদিকে বহু দিন পর সুস্থ হয়ে কামারহাটিতে দলীয় কর্মীসভায় যোগ দেন বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জেতার পর বিজেপিকে কামারহাটিতে কবর দেব।’ তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। এদিন এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীও প্রচারে ঝড় তোলেন। সকালে উত্তর দমদম পুরসভার আট, নয় ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ যাত্রা ছিল তাঁর। বিকেলে বরানগর পুরসভার সামনে থেকে বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের পদযাত্রায় সামিল হন। সুজনবাবু বলেন, ‘যোগ্যদের চাকরির দাবি আমরা প্রথম দিন থেকেই করছি। এই দাবিতে আমাদের ছাত্র-যুবরা রাস্তায় নেমেছে। তাঁদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করছে। সন্দেশখালিতে বোমা বন্দুক উদ্ধার হচ্ছে। সর্বত্র অস্থিরতা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকার নৈতিক দায় হারিয়ে ফেলেছেন।’
এদিন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তের খড়দহ ও দমদমের একাধিক এলাকায় কর্মসূচি ছিল। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেন। পাশাপাশি নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন ও দলের কর্মীদের নিয়ে সভাও করেন।
এদিন বরানগর উপনির্বাচনের প্রার্থীরাও সকাল থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেন। তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে হেঁটে জনসংযোগ সারেন। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও তাঁর সঙ্গে সেলফি নেওয়ার জন্য মহিলাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেলে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের পাশাপাশি কর্মী বৈঠকও করেন প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ ও সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য জনসংযোগ ও পদযাত্রা করেন।