একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
শনিবার সকালে সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের লাঙলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করছিলেন সৃজন। টেম্পো করে গ্রামের রাস্তা পরিক্রমার পর সাইকেলে চেপে জনসংযোগে নেমে পড়েন তিনি। মহিলাদের সৃজন বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। তার সঙ্গে জিনিসপত্রে যেভাবে দাম বেড়েছে, তা কমানোর জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষমতায় এলে এই টাকা দ্বিগুণ করব।’ সৃজনের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের করের টাকার একটা অংশ সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিচ্ছে। বাকিটা দুর্নীতির আড়ালে পকেট ভরছে। সিপিএম ক্ষমতায় এলে আরও বেশি পরিমাণ টাকা মানুষের কাছে যাতে পৌঁছে দেবে।’ এদিন রাতে যাদবপুর থেকে নেতাজিনগর পর্যন্ত সৃজনের সমর্থনে মশাল মিছিল হয়। হাজির ছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত ও এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ। বৃন্দা বলেন, ‘আমার মনে হয় লোকসভায় সৃজনের মতো যুবদের দরকার। এটা কোনও সাধারণ নির্বাচন নয়। এটা সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন।’
এদিন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ বারুইপুর কাছারি ও পুরাতন বাজারে প্রচার সারেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি রীতিমতো ব্যাগ ভর্তি করে বাজারও করেন তিনি। তেলাপিয়া মাছ, কাঁকড়া, চারাপোনা, পাঁঠার মাংস ছিল তাঁর বাজারের তালিকায়। পুরাতন বাজারে গিয়ে জনসংযোগের পাশাপাশি মাগুর ও ভেটকি মাছ কেনেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সায়নী বোয়াল মাছ কিনে দেন। পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ীরা সায়নীর কাছে হাজার ফুট গভীর নলকূপ বসানোর দাবি করেন। তাতে সায়নীর উত্তর, ‘ছোট চাহিদা। হয়ে যাবে।’ বারুইপুরের প্রচারের পর এদিন বিকেলে কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিছিল শুরু করেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সায়নীর বাবা। স্থানীয় একটি মন্দিরে তিনি পুজো দেন। সদ্য প্রয়াত স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে যান সায়নী। এরপর হুডখোলা জিপে প্রচার শুরু করেন। যাদবপুর এলাকায়ও প্রচার সারেন তিনি। এদিকে, এদিন সন্ধ্যায় বারুইপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে টোটো করে পরিক্রমা করেন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। এলাকার লোকজনের সঙ্গে জনসংযোগ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে কর্মসূচি শেষ করেন। পরে বারুইপুরের শিবানী পীঠে একটি পথসভায় যোগ দেন তিনি।