একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
উলুবেড়িয়া লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভার মধ্যে অন্যতম উলুবেড়িয়া পূর্ব। ৩২টি ওয়ার্ডের উলুবেড়িয়া পুরসভা এবং খলিসানি ও রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে এই বিধানসভা গঠিত। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী ১৯ হাজার ৭৮৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৬ হাজার ১৭৯। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৬ হাজার ৩৯১। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির হাওয়া থাকলেও তৃণমূল প্রার্থী বিদেশ বসু ১৭ হাজার ১২৬ ভোটে জয়লাভ করেন। তবে বিজেপি তাদের ভোট কিছুটা বৃদ্ধি করে। যদিও গত পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির রাশ অনেকটাই আলগা হয়ে যায়। গত নির্বাচনে বিজেপির হাতে থেকে ৩টি ওয়ার্ড এবং খলিসানি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া, গত কয়েকবছরে উলুবেড়িয়া ষ্টেডিয়াম, উড়ালপুল, মেডিক্যাল কলেজ, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল, উলুবেড়িয়া শহরের বাইপাস রাস্তা সহ একাধিক উন্নয়মূলক প্রকল্প লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির থেকে তৃণমূলকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বন্ধ হয়ে যাওয়া চেঙ্গাইলের আইটিআই, বাউড়িয়া উড়ালপুলের কাজ শুরু না হওয়া, হুগলি নদীর ভাঙন সমস্যার সমাধান এখনও অধরা।
দীর্ঘদিন ধরে চেঙ্গাইলের আইটিআই বন্ধ হয়ে থাকলেও সেটি খোলার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষের মতে, যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের এসব বিষয় দেখা উচিত।
স্থানীয় বিধায়ক বিদেশ বসু জানান, সাংসদের উদ্যোগে বাউড়িয়া উড়ালপুলের অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। হুগলি নদীর ভাঙন প্রসঙ্গে বিধায়কের দাবি, দীর্ঘদিন নদী ড্রেজিং না করার ফলে এই সমস্যা। সাংসদ সাজদা আহমেদ একাধিকবার এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন। কোনও লাভ হয়নি। যদিও বিজেপির দাবি উলুবেড়িয়া-বাউড়িয়ার এসব সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ সাংসদ নেননি। বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সহ সভাপতি রমেশ সাধুখাঁ বলেন, ‘এবার বন্ধ কলকারখানা চালু সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। আমাদের আশা, ভোটাররা আমাদের নিরাশ করবেন না।’