একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
তবে পাথরঘাটা অঞ্চলে ওই পানীয় জল প্রকল্পের কাজে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও বাসিন্দাদের। প্রকল্পের কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে– এই অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনকয়েক আগে কেষ্টপুর-বাগজোলা খালপাড় লাগোয়া ডিএলএফ-টু বিল্ডিং থেকে পঞ্চায়েত অফিস বরাবর রাস্তায় ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, পাইপলাইনের কাজের জন্য পোক্ত পিচ রাস্তার একপ্রান্তে প্রায় আড়াই ফুট ভাঙা পড়েছে। তা ভরাট করতে খোয়া, মাটি ফেলা হয়েছে। এই অবস্থায় প্রায় মাসখানেক অতিক্রান্ত, ভাঙা রাস্তা সংস্কার হচ্ছে না। ফলে জনবহুল এলাকায় নিত্যদিন যানজট লেগে থাকছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ লস্করআইট বাজারে। সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছেন পথচারীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, যানজটে দোকানের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে ছোট-বড় গাড়ি। ফলে বেচাকেনায় মার খেতে হচ্ছে। এই বাজারের ব্রিজের মুখে এক সব্জি বিক্রেতা জানিয়েছেন, দিনের বেলায় রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি উড়ে ধুলোয় ভরছে রোড লাগোয়া সব্জি, মাছ, মাংস ইত্যাদি দ্রব্যে। এতে খরিদ্দার কমে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে কিছুটা রেহাই পেতে দোকানদাররা অনেকেই সকাল-বিকেল রাস্তায় জল ছিটিয়ে ধুলো রোধ করছেন। আবার কেউ কেউ সাদা প্লাস্টিকে আনাজপাতি ঢেকে খরিদ্দার টানার চেষ্টা করছেন।
ব্যবসায়ীদের আর্জি, দ্রুত রাস্তা সংস্কার হোক। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শহিদুল মোল্লা বলেন, ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সুবিধার্থে ভাঙা রাস্তা মেরামতিতে পিএইচই দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত কর্মচারী নেই বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে অবশ্য পিএইচই’র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।