ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এখন প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। ফলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়াই গ্রাহকরা অনায়াসে যে কোনও বিষয় অনলাইনে সার্চ করতে পারেন। কিন্তু, অনলাইনে সার্চ করার জন্য প্রয়োজন হয় ব্রাউজারের। বর্তমানে বেশিরভাগ গ্রাহক একটি নামী কোম্পানির ব্রাউজার ব্যবহার করেন। ওই কোম্পানির ব্রাউজারের ‘লুক’ ব্যবহার করেই ডুপ্লিকেট ব্রাউজার তৈরি করেছে প্রতারকরা। তারা তা মেসেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ তা ক্লিক করলেই তাঁর মোবাইলে আপলোড হয়ে যাবে। ওই ব্রাউজার ব্যবহার করলে পড়তে হবে চরম বিপাকে।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওই ব্রাউজারে এমন একটি ম্যালওয়্যার দেওয়া রয়েছে, যা তথ্য হাতাতে সক্ষম। পারমিশনের মাধ্যমে ওই ব্রাউজার তথ্য হাতানোর কাজ করে। যেমন, যে স্মার্টফোনে আপলোড হবে, সেই গ্রাহকের সমস্ত ফোন ও মেসেজের তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যাবে। দ্বিতীয়ত, ফোনের ভিতরে থাকা কনট্যাক্ট নম্বর, ছবি, ভিডিও তারা পেয়ে যাবে। তারপর সহজেই হাতিয়ে নেবে অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকা। যেহেতু, হ্যাকারদের কাছে ডেটা চলে যাবে, তাই ওই গ্রাহক যেমন ভবিষ্যতে একাধিকবার প্রতারিত হতে পারেন, তেমনই তাঁর কনট্যাক্টে থাকা লোকজনও প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
এই ব্রাউজার থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়? সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রথমত, ওই ব্রাউজার দেখতে হুবহু একটি নামী কোম্পানির ব্রাউজারের মতো হলেও অ্যাপ আইকনের চারদিকে একটি কালো রঙের আবরণ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই ব্রাউজার ‘প্লে স্টোরের’ বদলে লিঙ্কের মাধ্যমে আপলোড হয়। ফলে, গ্রাহক সতর্ক থাকলে ডুপ্লিকেট ব্রাউজার এড়ানো সম্ভব। একটু অসতর্ক হলেই বিপদ!