‘ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করব। জীবনে কোনও দিন রাজনীতিতে নামব না।’ এই বক্তব্য ছিল শান্তনু ঠাকুরের। এই ‘প্রতিশ্রুতি’ সামনে রেখেই মতুয়া সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। ঠাকুরবাড়ির সদস্যকে ভরসা করেছিলেন মতুয়া ভক্তরা।
হাতে মোটামুটি সপ্তাহ দুয়েক সময় আছে। এই শেষ লগ্ণে প্রচারে গতি তুলেছেন ভোট প্রার্থীরা। একদিকে প্রবল গরম। অন্যদিকে লাগাতার প্রচার করে যাওয়ার ক্লান্তি রয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। তবুও এখন প্রচারে খামতি রাখছেন না রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
প্রচারে বেরিয়ে এতদিন কচিকাঁচাদের নানা আবদার মিটিয়েছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। কখনও দিয়েছেন অটোগ্রাফ। কখনও আবার সেলফি তুলে দেওয়ার জোরাজুরিতে একটুও বিরক্ত না হয়ে হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন।
রাম আর লক্ষ্মণ। যমজ ভাই দু’জন। ছোট থেকেই একসঙ্গে খাওয়া, স্কুলে যাওয়া, পড়াশোনা, ঘুমানো। এবার একসঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষাও দিয়েছিল দু’জনে। নম্বরে কিছুটা ফারাক থাকলেও দু’জনেই সফল। তাতে কুছ পরোয়া নেই তাদের।
ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার বাঁকড়া ৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গুলিচালনার ঘটনায় পুলিস গ্রেপ্তার করেছে এক তৃণমূল নেতাকে। ধৃত ভোলা চক্রবর্তী শাসকদলের বাঁকড়া ৩ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি। এই ঘটনায় নবাব নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
গত বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, পাঁচ টাকায় সকলকে ডিম-ভাত খাওয়ানো হবে। তৃতীয়বারের সরকার তৈরির পর রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পুরসভায় শুরু হয় মা ক্যান্টিন। সেভাবে নৈহাটি পুরসভার অধীনে চলছে দু’টি এমন ক্যান্টিন।
শনিবার সন্ধ্যায় বাইপাসে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সন্দীপ হালদার। মোবাইলে তাপমাত্রা দেখলেন। দেখাচ্ছে ট্যাংরার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফিলস লাইক ৪১। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধু অর্ণব মহাপাত্র। তাঁর মোবাইলে আবার দেখাচ্ছে ট্যাংরার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি।
ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কখনও ৩৫। কখনও ২৫। কখনও আবার ৩০। লোকসভা নির্বাচনে আসন ‘জয়’ নিয়ে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ক্রমাগত পাল্টে যাওয়া টার্গেটে চরম বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে বঙ্গ বিজেপি। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে বাস্তব পরিস্থিতি নিয়েও একাধিক জল্পনা। দ্বিতীয় দফার ভোট মিটলেই মেলানো হবে প্রাথমিক সমীকরণ। দু’দফার ভোটে বাংলার সম্ভাব্য রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে রিপোর্টও পাঠাতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দলীয় সূত্রে এখবর জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিপূর্বে বঙ্গ বিজেপিকে টার্গেট দিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অন্তত ৩৫টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। ২৪টি ‘দুর্বল’ আসন থাকা সত্ত্বেও সেইমতোই প্রস্তুতি শুরু করেছিল বিজেপি। দলের অন্দরের খবর, এরপর থেকে বিভিন্ন জনসভা কিংবা কর্মিসভা অথবা কোনও সংবাদমাধ্যমের আলোচনা সভায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট ‘লক্ষ্যমাত্রা’ নিয়ে নানারকম সংখ্যার উল্লেখ করেছেন। কখনও তা ৩৫টি আসন থেকে কমে হয়েছে ২৫। আবার কখনও তা ২৫টি আসন থেকে কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৩০। ফলে দলের সাধারণ নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপি সূত্রে কার্যত সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, নির্দিষ্টভাবে কোনও সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। সেই কারণে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কাছাকাছির মধ্যে সংখ্যার উল্লেখ করা হচ্ছে মাত্র। আসন প্রাপ্তি তার থেকে কিছু কম বা বেশি হতে পারে। রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, এক্ষেত্রে বিজেপিকে ভাবাচ্ছে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরিস্থিতিই। ওইসময় ‘আব কি বার, ২০০ পার’-এর দাবি করে তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে সেই কারণে নির্দিষ্ট অঙ্ক বারবার পাল্টে ফেলছেন শীর্ষ নেতারা। এই পরিস্থিতিতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানোর ব্যাপারে একপ্রকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। ১৯ এপ্রিল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভোট হয়েছে। কাল, শুক্রবার ভোট রয়েছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে। অর্থাৎ, মালদহের দু’টো কেন্দ্র বাদ দিলে উত্তরবঙ্গের সবক’টি লোকসভা আসনেই কাল ভোট হয়ে যাচ্ছে। এরপরেই বিশেষত উত্তরবঙ্গের সম্ভাব্য সমীকরণ ব্যাখ্যা করে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাবে দল।
