ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিজ্ঞ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়-পরাজয় অনেকটাই নির্ভর করে ডোমজুড়ের উপর। তা ভালো মতোই জানেন এখানকার তৃণমূল নেতৃত্ব। সামান্য ভুলচুকে ভোটের অঙ্ক কমে গেলেই বাড়তে পারে বিপদ। তাই সময় থাকতেই ভুল-ত্রুটি মিটিয়ে নিতে চাইছে নেতৃত্ব। সভা-সমিতি, মিটিং-মিছিল তো আছেই, পাশাপাশি এবার বুথভিত্তিক জনসংযোগকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে দল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা এক দশকের বেশি সময় রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের দল। বুথে বুথে রাস্তা, জল, আলোর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা কারণে অনেকে তৃণমূলের উপর মনোক্ষুণ্ণ। স্থানীয় স্তরে মান-অভিমান, ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই নিচুতলার কর্মীদের এই বিষয়টি নিয়ে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে। নেতৃত্ব দলীয় কর্মীদের এক নির্দেশে বলেছে, তৃণমূলের প্রতি অসন্তোষ বা অভিমান রয়েছে, এমন মানুষজনকে চিহ্নিত করতে হবে। তার মধ্যে নিষ্ক্রিয় সদস্যরাও থাকতে পারেন। তাঁদের বুঝিয়ে সুজিয়ে মানভঞ্জন করে ফের মূল স্রোতে ফেরাতে হবে। পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে দ্রুত তার নিষ্পত্তি করতে হবে। নেতৃত্বের দাবি, পকেট এলাকায় তৃণমূলকে নিয়ে ক্ষোভ প্রশমন করা সম্ভব। কারণ রাজ্যে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা অন্যান্য পরিষেবার মাধ্যমে। তাই ক্ষুব্ধদের মানভঞ্জন করতে বেশি সময় লাগবে না। এ নিয়ে ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, একবার নয়, বারবার গিয়ে রাগ ভাঙাতে হবে তাঁদের। দলের কর্মী হোক বা সাধারণ ভোটার— তৃণমূলের প্রতি তাঁদের আস্থা ফেরাতেই হবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল একাধিক গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছে। দলের কথা ভেবে সত্যিই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া অনেক কর্মী মূল স্রোতে ফিরতে পারেন। কমতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। তবে বাস্তবে কি এর প্রয়োগ সম্ভব? উত্তর দেবে সময়।