বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
ধর্মতলায় ১০০ টাকা দামের স্কার্ফ, ওড়নার বিস্তর বিক্রি হাসি ফুটিয়েছে বিক্রেতাদের মুখে। নিউ মার্কেটে একটি মলের সামনের রাস্তায় দোকানে উপচে পড়া ভিড়। বাচ্চা যাদব, বিবেক সাউ, সালাম শেখ নামে দোকানদারদের বক্তব্য, ‘দিনে একশোরও উপর স্কার্ফ, ওড়না বিক্রি হচ্ছে দাদা।’
শহরের বুকে আট দিন ধরে একটানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতি শেষ হয়েছিল ২০১৯ সালে। তার আগে ২০০৯ সালেও এপ্রিল মাসে টানা আট দিন তাপপ্রবাহের সাক্ষী ছিল তিলোত্তমা। প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার এই একই পরিস্থিতি থাকলে এপ্রিল মাসের পূর্বেকার রেকর্ডগুলি যাবে ভেঙে। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মোবাইল বলছে, ‘ইটস ফিল লাইক ৪৬।’ এখন কোনওদিন আর্দ্রতার কারণে ঘাম। কোনওদিন শুকনো ঠোঁট-মুখ-চোখ জ্বালানো হাড়জ্বালানি গরম। ফলে কোনওদিন ঘেমে নেয়ে একসা মানুষ। কোনওদিন বেগুনপোড়া মুখ। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে ভেজা রুমাল-গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে বাইরে বেরচ্ছেন সবাই। মেয়েদের স্কার্ফ, ওড়না বিক্রি বেড়েছে। ছেলেদের গ্লাভস, আর্ম গার্ড কিংবা স্কিন গার্ড দেদার বিকোচ্ছে। অধিকাংশ বাইক চালক ব্যান্ডেনা, আর্ম গার্ড কিনছেন।
রাস্তায় গলছে পিচ। লম্বা পথে দূরের দিকে তাকালে মনে হয় ধোঁয়ায় তিরতির কাঁপছে দূরের রাস্তা। সুর্যের তেজ আরও আরও কড়া হয়েই চলেছে। শহরে কার্যত লু’র পরিস্থিতি। জলের বোতল কিনতে কিনতে পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে সবার। আইসক্রিম-কোল্ড ড্রিংকসের দোকানে লাইন। তবুও সব করেও হাঁসফাঁস দশা থেকে রেহাই মিলছে না। এরই মধ্যে জানা গেল, আপাতত আগামী এক সপ্তাহ এই কাঠফাটা রোদ থেকে নিস্তারের কোনও অবকাশ নেই।