সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এই ভোটে তৃণমূলের হাতে তুরুপের তাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত অনুদান। এটা পেয়ে মহিলারা খুশি। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মহিলারা আনন্দে বহু জায়গায় মিছিল করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পটিকে রীতিমতো ‘ক্যাশ’ করতে চাইছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাই প্রার্থীকে বাদ দিয়েই মহিলা কাউন্সিলাররা নিজেদের উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি ঘোরা শুরু করেছেন। ওইসঙ্গে চলছে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন।
বারাকপুর পুরসভায় ওয়ার্ড ২৪টি। ইতিমধ্যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রচার শেষ করেছেন মহিলা কাউন্সিলাররা। বুধবার তাঁরা ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ান। চেয়ারম্যান পরিষদের মহিলা সদস্য গীতালি বিশ্বাস বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের মধ্যে বিপ্লব এনে দিয়েছেন। আর্থিক দিক থেকে সক্ষম করার জন্য মাসে হাজার টাকা ও বারোশো টাকা করে দিচ্ছেন। প্রত্যেক মহিলা তা পাচ্ছেন কি না, সেটা জানার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মহিলাদের যে শ্রদ্ধা ও আবেগ, তা দেখে আমরা অভিভূত হচ্ছি। প্রত্যেক মহিলা জানিয়েছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘজীবন কামনা করছেন প্রত্যেকেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিজেপি অপপ্রচার করছে। আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন বাংলার মানুষ ভালো থাকবেন, বাংলার মহিলারা ভালো থাকবেন। হাজার টাকা বেড়ে দু’হাজারও হতে পারে, কিন্তু কখনোই তা কমবে না।
শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা নয়, অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কি না, তারও খোঁজ নিচ্ছেন মহিলা কাউন্সিলাররা। রীতিমতো অভিনব কায়দায় প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা। বারাকপুর শহরের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রতিটি প্রকল্পের বিস্তারিত খবর নিচ্ছেন তাঁরা। আগামী কয়েকদিন ধরেই এই প্রচার কর্মসূচি চলবে বলে বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বারাকপুরে নির্বাচন কমিটির আহবায়ক উত্তম দাস জানিয়েছেন।