তিনি মুখ্যমন্ত্রী বলে চারপাশে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। কিন্তু সেসব এড়িয়ে কত সহজে যে তিনি সাধারণ হয়ে উঠতে পারেন, তা বুধবার সচক্ষে দেখল উত্তর হাওড়ার মানুষ। সালকিয়া চৌরাস্তায় পদযাত্রা শেষে গাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। কিছুটা এগনোর পর হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ঢুকে পড়লেন গলিতে।
উল্টোডাঙা রেল স্টেশন লাগোয়া এক অভিজাত আবাসন। সেখানে সম্প্রতি আবাসিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু।
ভোটদান শুরু হয়ে গিয়েছে হাওড়া ও হুগলিতে। কমিশনের ঘোষণা অনুসারে, সমস্ত ভোটারের জন্য ভোটদানের তারিখ ২০ মে। তবে, প্রবীণ ভোটাররা চাইলে আগেই বাড়িতে বসে ভোচ দিতে পারেন। বিশেষভাবে সক্ষমদের ভোটও বাড়িতে গিয়েই নেওয়া হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। বৃহস্পতিবার হঠাৎই রেজ্জাককে দেখতে তাঁর বাড়ি যান জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারী। তিনি নিজে একজন চিকিৎসক।
সকাল থেকে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ভাঙড়ে হুডখোলা জিপে র্যালি করছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। কিন্তু প্রচারের মাঝপথেই আচমকা অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তাই কর্মসূচি শেষ না করেই ফিরতে হল তাঁকে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন অসংখ্যা দলীয় কর্মী, সমর্থকরা।
‘গুন্ডারাজ খতম করুন। বারাকপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনুন’— বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে চার কিলোমিটার রোড শোয়ের আগাগোড়া জনতার দরবারে এই আবেদন রাখলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রোড শো শুরু করার আগে বড়মার মন্দিরে তিনি পুজো দেন।
শাসকদল হোক বা বিরোধী— ভোটের প্রচারে মহিলাদের উপস্থিতি এবং স্বতঃস্ফূর্ততা এবার তুঙ্গে। যাদবপুর লোকসভা নির্বাচনে তাঁরাই হতে চলেছেন নির্ণায়ক শক্তি। কারণ, এই আসনে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতেই পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
বৃহস্পতিবার ভাঙন কবলিত এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন শান্তনু ঠাকুর। এদিন কল্যাণী ব্লকের চাঁদুরিয়া-২ পঞ্চায়েতের সান্যালচরে প্রচারে গিয়েছিলন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ।
শনিবার বিকেলেই প্রচার শেষ। তাই বৃহস্পতিবার হুগলির তিন কেন্দ্রে সময় অপচয় না করে গোটা দিনটাকেই প্রচারের কাজে নিংড়ে দিলেন প্রার্থীরা। শ্রীরামপুর ও হুগলি কেন্দ্রে এদিন মাটি কামড়ে প্রচার করেছেন তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থীরা।
সাইবার ক্রাইমের জাল এবার ছড়িয়ে পড়েছে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টকে কেন্দ্র করেও। চিকিৎসককে দেখানোর জন্য এক মহিলা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিলেন। বুকিং কনফার্ম করার জন্য লিঙ্কে ক্লিক করে তাঁকে মাত্র ৫ টাকা পেমেন্ট করতে বলা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল-আইএসএফের দফায় দফায় সংঘর্ষ হল শাসনের একাধিক গ্রামে। আক্রান্ত হলেন উভয়পক্ষের কর্মীরা। এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন আইএসএফ কর্মীরা। তবে পুলিসের দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: সপ্তাহের প্রথম দিন শ্রীরামপুর থেকে হুগলির প্রার্থীরা দিনভর প্রচার করলেন। জনসভা থেকে পথসভা, রোড শো থেকে পদযাত্রা আর চা-চর্চায় প্রচার করলেন প্রার্থীরা। তবে এদিন শ্রীরামপুর ও হুগলির দুই প্রার্থীর মনোনয়ন পর্ব ছিল। আজ মঙ্গলবার, জেলার বাম এবং হুগলির বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পর্ব আছে। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী হুগলির রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দুপুরে মনোনয়ন পেশ করেই বিকেলে প্রচারে নেমে পড়েছিলেন।
হুগলির বিদায়ী সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন মর্নিং ওয়াকের মধ্য দিয়ে প্রচার করেন। এদিন সকালে তিনি চন্দননগরে গিয়েছিলেন। পরে তিনি সেখানেই চায়ের আসরে নাগরিকদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। পরে ধনেখালিতে দলের জনসভায় অংশ নেন। আজ, মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন পেশ করবেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মনোনয়ন পেশের সময় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি ও নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুকে উস্কে দিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ সন্দেশখালি থেকে মহিলাদের একটি দলকে লকেট তাঁর মনোনয়নে হাজির করবেন। হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার নানা বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে ট্যাবলো করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া বাহিনীর। এদিন লকেট বলেন, প্রবীণ মানুষরাও আমাকে বলছেন, বাংলা থেকে অনিয়মের রাজত্বের অবসান হোক। সিপিএমের হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ এদিন চুঁচুড়ার কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করেন। পাশাপাশি লোহাপট্টি এলাকাতেও তাঁর প্রচার ছিল। দুপুরে মনোনয়ন পেশ করে বিকেলে পোলবায় রোড শো করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা। বিধায়ক অসিত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বর্ণময় প্রচার ঘিরে এলাকায় সাড়া পড়েছিল। রচনা বলেন, পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমি প্রতিটি ঘরের মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই। তাঁদের পাশে পেতে চাই। একটাই লক্ষ্য, উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলার শান্তি ও সংস্কৃতির পরিবেশকে ধরে রাখা।
উত্তরপাড়া থেকে জাঙ্গিপাড়া হয়ে রাজবলহাট, সোমবার দীর্ঘ এলাকা ধরে প্রচার করেন বামেদের শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশের আগে শক্তি প্রদর্শনের পথও বামেরা নিয়েছিল। ফলে, নানা আকারের মিছিল পর্ব এদিন দেখা গিয়েছে। রাজবলহাটে এদিন বামেরা পথসভা করে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দু’পক্ষকেই তেড়ে আক্রমণ করেন দীপ্সিতা। তিনি বলেন, মঙ্গলবার মনোনয়ন। শুধুই মনোনয়ন নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক লড়াইয়ের সংকল্প। আরামবাগ থেকে শ্রীরামপুর, তিন আসনেই মানুষের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে সেটিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে হবে। সেই শপথ নিয়েই আমরা মনোনয়ন পেশ করব। এদিন শ্রীরামপুর লোকসভার একাধিক এলাকায় পদযাত্রা ও রোড শোয়ের মাধ্যমে প্রচার করেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
হুগলির বিদায়ী সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন মর্নিং ওয়াকের মধ্য দিয়ে প্রচার করেন। এদিন সকালে তিনি চন্দননগরে গিয়েছিলেন। পরে তিনি সেখানেই চায়ের আসরে নাগরিকদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। পরে ধনেখালিতে দলের জনসভায় অংশ নেন। আজ, মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন পেশ করবেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মনোনয়ন পেশের সময় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি ও নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুকে উস্কে দিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ সন্দেশখালি থেকে মহিলাদের একটি দলকে লকেট তাঁর মনোনয়নে হাজির করবেন। হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার নানা বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে ট্যাবলো করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া বাহিনীর। এদিন লকেট বলেন, প্রবীণ মানুষরাও আমাকে বলছেন, বাংলা থেকে অনিয়মের রাজত্বের অবসান হোক। সিপিএমের হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ এদিন চুঁচুড়ার কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করেন। পাশাপাশি লোহাপট্টি এলাকাতেও তাঁর প্রচার ছিল। দুপুরে মনোনয়ন পেশ করে বিকেলে পোলবায় রোড শো করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা। বিধায়ক অসিত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বর্ণময় প্রচার ঘিরে এলাকায় সাড়া পড়েছিল। রচনা বলেন, পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমি প্রতিটি ঘরের মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই। তাঁদের পাশে পেতে চাই। একটাই লক্ষ্য, উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলার শান্তি ও সংস্কৃতির পরিবেশকে ধরে রাখা।
উত্তরপাড়া থেকে জাঙ্গিপাড়া হয়ে রাজবলহাট, সোমবার দীর্ঘ এলাকা ধরে প্রচার করেন বামেদের শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশের আগে শক্তি প্রদর্শনের পথও বামেরা নিয়েছিল। ফলে, নানা আকারের মিছিল পর্ব এদিন দেখা গিয়েছে। রাজবলহাটে এদিন বামেরা পথসভা করে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দু’পক্ষকেই তেড়ে আক্রমণ করেন দীপ্সিতা। তিনি বলেন, মঙ্গলবার মনোনয়ন। শুধুই মনোনয়ন নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক লড়াইয়ের সংকল্প। আরামবাগ থেকে শ্রীরামপুর, তিন আসনেই মানুষের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে সেটিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে হবে। সেই শপথ নিয়েই আমরা মনোনয়ন পেশ করব। এদিন শ্রীরামপুর লোকসভার একাধিক এলাকায় পদযাত্রা ও রোড শোয়ের মাধ্যমে প্রচার করেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপচারিতায় লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
