সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
রবিবার দুপুরে বরানগরের ২৫ নিরঞ্জন সেন নগরের বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে বৃদ্ধ শঙ্কর হালদার, তাঁর ছেলে অভিজিৎ ও নাতি দেবার্পণ ওরফে বর্ণ হালদারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তদন্তকারীরাও চরম ধন্দে রয়েছেন। বাইরে থেকে আততায়ীরা বাড়িতে ঢুকে খুন করে চম্পট দিয়েছে, নাকি বাবা ও ছেলেকে খুন করে অভিজিৎ নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন, তা কোনওভাবে স্পষ্ট হয়নি। ঘরের ক্যামেরা ঢাকা ছিল।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, হালদার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য নির্বিবাদী ছিলেন। পাড়ার অনুকূল ঠাকুরের মন্দিরে তাঁদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কিন্তু বাড়ির একমাত্র সমস্যা ছিল বউমাকে নিয়ে। অভিজিতের স্ত্রী বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে স্কুল জীবনের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ফের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বছর তিনেক আগে প্রেমিকের হাত ধরে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে হালদার পরিবারের সদস্যরা অনেক বুঝিয়ে তাঁকে বাড়ি ফেরান। কিন্তু বাড়ি ফিরলেও ওই প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই পরিস্থিতিতে একতলার এক ভাড়াটের ঘরে চুরি হয়েছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বছর আড়াই আগে বাড়ির সামনে তিনটি ও ডাইনিং রুমে একটি সিসিটিভি লাগিয়েছিলেন অভিজিৎ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাড়িতে কে কখনও আসছেন, স্ত্রী কখন কোথায় যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ডাইনিংয়ে সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এত কিছুর পরও শেষরক্ষা হয়নি। স্ত্রীকে বাড়িতে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। গত বছর ২৩ জুলাই শ্বশুরকে প্রণাম করার পাশাপাশি ছেলেকে আদর করে বাড়ি ছেড়েছিলেন গৃহবধূ। ওই দৃশ্য পরে ডাইনিংয়ে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ থেকেই দেখেছিলেন স্থানীয়রা।
তিন প্রজন্মের মৃত্যু রহস্যের সমাধানে তদন্তকারীরা আশপাশের সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ শুরু করেছেন। মূলত ১১ ও ১২ এপ্রিলের ভিডিও ফুটেজ বার বার খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ফের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনার তদন্তে আসেন। তাঁরা ওই ঘর থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। বৃহস্পতিবার পুলিস বাড়ি লাগোয়া ঝোপঝাড় ও পুকুর এলাকায় ডিবিআর ও মোবাইলের খোঁজে তল্লাশি চালাবে।