সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে সোমবার বাগদার আষাঢ়ু বাজারে পথসভা করে বিজেপি। ওই পথসভায় তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে আক্রমণ করতে গিয়ে দেবদাসবাবু বলেন, ‘দলবদল ওঁর অধিকার হয়ে গিয়েছে। ৪ জুনের পর তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। সেটা বুঝে আগে থেকেই বিজেপিতে ফেরার পথ তৈরি করছে। ভোটের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল সাইনবোর্ডে পরিণত হবে।’ যদিও বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘বাগদাতে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে হার নিশ্চিত জেনে আমাকে কালিমালিপ্ত করতে এসব বলছে বিজেপি। কোনও লাভ হবে না। ভোটের ফল প্রকাশ হলেই সব জানা যাবে, মানুষ কাদের সঙ্গে আছে।’ বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্যের বিষয়টি তিনি শীঘ্রই নির্বাচন কমিশনের নজরে আনবেন বলেও জানিয়েছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হন বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। এবছরও তাঁকেই প্রার্থী করেছে দল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা বিজেপির দখলে আসে। তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিশ্বজিৎ দাসকে সেখানে প্রার্থী করেছিল দল। কিন্তু ভোটে জিতে পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসেন বিশ্বজিৎ। এবার প্রার্থীও হয়েছেন জোড়াফুল প্রতীকে। এহেন প্রার্থী সম্পর্কে ফের যেভাবে দলবদলের সম্ভাবনা উস্কে দেওয়া হল, তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিনের সভা থেকে অবশ্য বিশ্বজিৎবাবুর বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। দেবদাসবাবু বলেন, ‘তৃণমূল প্রার্থী বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে চেয়ারে বসতে দেবেন। এরপর জানতে চাইবেন, আপনি কোন দল থেকে এসেছেন। এখনও বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। অথচ তৃণমূলের প্রার্থী।’ এদিন বাম ভোটারদেরও বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি। ওই নেতা বলেন, ‘সিপিএম আর কোনওদিন ক্ষমতায় আসবে না। বাম সমর্থকদের বিষয়টি ভাবতে হবে।’ সিপিএমের বনগাঁ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সমিত কর বলেন, ‘সিপিএমই শেষ কথা বলবে আগামীতে। দেশ ও রাজ্যের ভরসা বামেরা। আগামীতে বিজেপি দেশে ক্ষমতায় আসবে না।’