সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ধনেখালিতে ভালো ফল করা নিয়ে আশাবাদী সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধনেখালিতে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সবকিছুকেই ক’টা আসন জিতলাম বা হারলাম, তা দিয়ে বিচার করা যাবে না। ধনেখালি এবার বামেদের পক্ষেই থাকবে। আমরা সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পেয়েছি।’ বিজেপির হুগলি নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান সুবীর নাগ বলেন, ‘গত লোকসভায় ধনেখালিতে তৃণমূলের লিড ছিল। কিন্তু এবার আমাদের লিড থাকবে। ২০১৯ থেকে সময় অনেকটা গড়িয়েছে। ধনেখালিতে ঝাঁকেঝাঁকে নতুন পদ্ম ফুটেছে। স্থানীয় বিধায়কের বাহুবল এবার কাজে আসবে না।’ ধনেখালির বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, ‘মানুষের জন্য প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। সর্বত্র তার প্রতিফলন চোখে পড়ে। তাই মানুষ আমাদের ভালোবাসেন। সেটাই অর্জন করতে না পেরে বিজেপি নেতারা বাহুবল বলে দেগে দেন। আসলে ধনেখালিতে আছে আমাদের জনবল। ২০১৯ সালের থেকেও এবার আমরা ভালো ফল করব।’
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই বিধানসভা ১,০৯,৮৪২ ভোট তৃণমূল পেয়েছিল। হুগলি আসনে জিতে গেলেও বিজেপি ধনেখালিতে লক্ষ ভোট পায়নি। ৯৭,৪৮০ ভোট পায় পদ্মপার্টি। করুণ দশা হয়েছিল বামেদের। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ‘আগে রাম পরে বাম’-এর স্লোগান তুলতে গিয়ে ১০ হাজার ভোটের সীমারেখাও টপকাতে পারেনি বামেরা। অথচ, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী প্রায় ৬৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তিন বছরের মধ্যে সেই ভোট কোথায় গেল, তা নিয়ে বামমহলে লুকোছাপা থাকলেও রাজনৈতিক অঙ্ক স্পষ্ট।
পরিসংখ্যানে অশনি সংকেত আছে বিজেপির জন্যও। ২০১৯ সালের লোকসভায় প্রাপ্ত ভোট ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি ভোট তারা পেয়েছিল। আর তৃণমূল ১,২৭,৭৭৬ ভোট পেয়েছিল। যা লোকসভার নিরিখে প্রায় ১৭ হাজার বেশি। যদিও বামেদের হাল ফেরেনি। ২০২১ সালে বামজোটের কংগ্রেস প্রার্থী ১০ হাজারের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি। তাছাড়া, ২০১১ সালের পর থেকে লোকসভা হোক বা বিধানসভা, ধনেখালিতে তৃণমূলের ভোট ৫০ শতাংশের নীচে নামেনি কখনও।