বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
কী লেখা সেই পোস্টারে? কারাই বা দিল এই পোস্টার? বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা কিছু কিছু জায়গায় পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলার আগেই দেখা গিয়েছে, প্রতিটির নিচে লেখা রয়েছে ‘প্রচারে হতভাগা জনগণ’। এক একটি পোস্টারে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এক এক রকমের অভিযোগ তোলা হয়েছে। কোনওটিতে লেখা - ‘বিগত পাঁচ বছরে আমরা এমপি সাহেবের থেকে কি কি পেলাম? শুধু ধোকা আর অবহেলা’। কোনটায় আবার লেখা – ‘৫ বছর কেটে গেল, এমপি সাহেব কোথায় ছিল? সময় ঘুরে ভোট এল, এমপি সাহেব ফিরে এল’। তাঁর একটি ব্যঙ্গাত্মক ছবিও ছাপানো হয়েছে প্রতিটি পোস্টারে। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, এই পোস্টার দিয়েছে বিজেপির বি-টিম। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কল্যাণী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পঙ্কজ সিং বলেন, এই সত্যি কথা লেখার জন্য বিজেপির বি-টিমের সদস্যদের আমরা সাধুবাদ জানাই। অন্য দিকে, বিজেপির কল্যাণী ব্লকের ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল জানিয়েছেন, আমাদের সাংসদ বিগত পাঁচ বছরে যা কাজ করেছেন, তা আগের কোন সাংসদ করেননি। এইসব পোস্টার তৃণমূলের লোকেরাই সেঁটেছে।
অন্যদিকে, সিএএ’র মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য এ রাজ্যের একজনও আবেদন করেননি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই তথ্য সামনে আসার পর বেশ বিপাকে পড়েছে বিজেপি। বিশেষ করে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে, যেখানে সিএএ’র উপযোগিতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি গলা ফাটাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে গাইঘাটা এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে সোমবার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের দাবি, ইতিমধ্যে ১০ হাজার মতুয়াভক্ত সিএএ’তে আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তারা বিদেশি নাগরিক। তাদের অবশ্যই এদেশের নাগরিকত্ব নিতে হবে। এই মুহূর্তে মতুয়া মহাসংঘের ৫ লক্ষ সদস্য আছে, যারা কার্ড হোল্ডার (শান্তনু ঠাকুরের স্বাক্ষরিত কার্ড)। তাদের সিএএ’র জন্য আবেদন করাচ্ছি। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার জন আবেদন করেছেন। বিজেপি প্রার্থীর এই দাবি নস্যাৎ করেছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুর এখনও মতুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছেন। তিনি নিজে যেখানে আবেদন করেননি, সেখানে অন্যদের আবেদন করার কথা কেন বলছেন! এসব ভুলভাল কথা। উনি, একজন মতুয়াভক্ত দেখান, যিনি সিএএ’তে আবেদন করেছেন।