সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কল্যাণপুরের চণ্ডীপুর স্কুল মাঠ থেকে প্রচার শুরুর কথা ছিল। প্রখর রোদে প্রার্থীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অবশেষে সাড়ে ১১টার পর শুরু হল সায়নীর প্রচার। ততক্ষণে গলদঘর্ম অবস্থা প্রত্যেকের। চণ্ডীপুর বাজার পর্যন্ত হেঁটেই জনসংযোগ সারেন তৃণমূলের যুব নেত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিল এলাকার মহিলা বিগ্রেড। তারপর ফের গাড়িতে উঠে চাকারবেড়ে হয়ে ধোপাগাছি যান। সেখানে ডাব খেয়ে হেঁটেই শুরু করলেন প্রচার। রাজ্যের যুব তৃণমূল নেত্রী তথা অভিনেত্রীকে দেখতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন বাড়ির মহিলারা। প্রার্থী বলেন, এত গরমে দিদি, অভিষেক চষে বেড়াচ্ছেন। আমার জন্য দলীয় কর্মীরা হাঁটছেন, আর আমি গরম বলে ঘরে বসে থাকব? এদিকে, এদিন বিকেলে গড়িয়ায় ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে হেঁটে প্রচার করেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। রাস্তার দু’পাশে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করতে দেখা যায় সায়নীকে।
এদিন বড় কোনও কর্মসূচি ছিল না সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের। তবে বিকেলে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে পরিক্রমা করেন তিনি। পরে একটি কর্মিসভায় যোগ দেন সৃজন। সেখানে তিনি আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের তাঁকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। সৃজনের বক্তব্য, আইএসএফ ভাইদের বলছি, ভোট ভাগ করবেন না। আমরা পঞ্চায়েতে একসঙ্গে লড়াই করেছি। তাতে ফল ভালো হয়েছে। লোকসভা ভোটে আপনারা আমাকে ভোট দিন। ভোট ভাগ হলে তৃণমূল-বিজেপির সুবিধা হবে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বিকেলে বারুইপুরের দাসপাড়ায় পদযাত্রা করেন। তারপর মল্লিকপুর অঞ্চলের পেটুয়া ও সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। ওই এলাকায় বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নেতারা। তারই প্রতিবাদে এই সভা করেন অনির্বাণবাবু।