সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে নদীয়া জেলার এই দু’টি বিধানসভা। সোমবার দুপুরে কল্যাণী ও হরিণঘাটা বিধানসভার নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর প্রমুখ। সেখানে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর।
নদীয়ার এই দুই বিধানসভা এলাকায় মতুয়া ভোটাররা অধিক সংখ্যায় রয়েছেন। সেই মতো ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকে এবার লোকসভায় প্রার্থী করে অন্যত্র পাঠিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে সুব্রত বক্সি স্থানীয় নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কল্যাণী ও হরিণঘাটায় বিজেপি মতুয়াদের সঙ্গে যে বঞ্চনা করেছে, তা তুলে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে কয়েকদিন আগে রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর শপথ নেওয়ার সময় হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিতে চাইলেও তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই ঘটনার ভিডিও মতুয়াদের দেখাতে বলা হয়েছে কর্মীদের। বিজেপির ইস্তাহারে মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে কোনও উচ্চবাচ্যই করা হয়নি। সেই প্রসঙ্গও দোরে দোরে গিয়ে প্রচার করবেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
কল্যাণী বিধানসভার কল্যাণী ব্লক, কল্যাণী ও গয়েশপুর পুরসভা নিয়ে মোট ২৮১টি বুথ। গতবার এই বিধানসভায় বুথের সংখ্যা ছিল ২৭৯। তার মধ্যে ১০৪টি বুথে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ১৭৫টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। হরিণঘাটা বিধানসভার মধ্যে হরিণঘাটা পুরসভা, হরিণঘাটা ব্লক ও চাকদহ ব্লক মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ২৫৮। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ৯১টি বুথে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বাকি ১৬৭টি বুথে বিজেপি। এই হিসেব সামনে রেখে যেসব বুথে দলের ফলাফল খারাপ রয়েছে, সেসব এলাকায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে গুরুত্ব সহকারে। নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘দলের রাজ্য সভাপতি বেশ কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন কর্মীদের। আশা করছি, এই টনিকে ভালো কাজ হবে।’