বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মৃতদের তালিকায় যেহেতু নাম নেই, তাই তাঁদের আশা, কোনও না কোনও হাসপাতালেই জখম অবস্থায় পাওয়া যাবে শ্যামাপদকে। অন্যদিকে, ভুবনেশ্বর এইমসে শ্যাওলা রঙের হাতকাটা গেঞ্জির উপর তেরঙ্গা আঁকা ও পিছনে মেরুণ রং দেখে জয়নগরের সঞ্জীবকে শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকজন। তাঁর দেহ নিয়ে ফিরতে চলেছেন পরিবার ও জয়নগর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের লোকজন।
কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা বছর কুড়ির শ্যামাপদ নাইয়া গত শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁর দেহের খোঁজে মামা গৌরাঙ্গ হালদার ও পরিবারের লোকজন ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ঢুঁ মেরেছেন। মামার কথায়, অনেক খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি শ্যামাপদকে। তাঁর বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সুতোর কাজ করতে ভাগ্নে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিল। এইমস যে তালিকা দিয়েছে, তাতে ৬০ নম্বরে শ্যামাপদর নাম রয়েছে বলে জেলা কন্ট্রোল রুম জানিয়েছিল। কিন্তু সেই দেহ তাঁর ভাগ্নের নয়। তাঁর আশা, নিশ্চিতভাবেই ওড়িশার কোনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে শ্যামাপদ।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে জয়নগরের সরবেড়িয়া নারায়ণীতলার বাসিন্দা সঞ্জীব মণ্ডলের দেহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এদিন, বারুইপুরের ধপধপিতে নিহত সৌরভ রায়ের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা তুলে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সিবিআই নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে এই দুর্ঘটনার তদন্ত করানো হোক। তবেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে। কুলতলিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল।