নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: সংবর্ধনা আর শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে বাড়ি ফিরলেন অন্নপূর্ণা ও মাকালু শৃঙ্গজয়ী পিয়ালি বসাক। একের পর এক কাঁটার পাহাড় ডিঙিয়ে অবশেষে শনিবার চন্দননগরের কাঁটাপুকুরের বাড়িতে ফেরেন তিনি। তিনি চন্দননগরে ঢুকতেই দেখা যায় উচ্ছ্বাসের আবহ। শুরু হয়ে যায় সংবর্ধনা আর শুভেচ্ছা। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পিয়ালিদেবী তাঁর বাড়িতে পৌঁছন। দীর্ঘদিন পরে মেয়েকে কাছে পেয়ে তখন মায়ের চোখে জল। পিয়ালিদেবীর অসুস্থ বাবা এমনিতে পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে বিশেষ বুঝতে পারেন না। তবু তিনিও যেন বুঝতে পারছিলেন, আজ পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। পিয়ালি বলেন, পাহাড় বরাবরই আমাকে টানে, এটা সত্য। সেই সঙ্গে আমার কাছে বাড়িরও একটা নিজস্ব আকর্ষণ আছে। এবারের অভিযানের শুরু থেকে অসংখ্য মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমার অমূল্য সম্পদ। এখন লড়াই মাকালু অভিযানের টাকা শোধ করার। তবে আগের থেকে সুস্থ হলেও শরীরটা এখনও বিশেষ ভালো হয়নি। বিশেষ করে পায়ের ক্ষত সারতে আরও অনেকটা সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, মাকালু শৃঙ্গ জয় করে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পিয়ালি। শেরপারা তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে এয়ার লিফট করে নামিয়ে আনতে হয় কাঠমাণ্ডুতে। সেখানে আসার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষে ১ জুন তিনি বাড়ি ফিরবেন বলে ঠিক হয়। কিন্তু নথিপত্র সময়ে না পাওয়ার কারণে তিনি বিমানে উঠতে পারেননি। অবশেষে শনিবার দুপুরে তিনি বিমানে কলকাতায় এসে পৌঁছন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর এক ঝাঁক শুভানুধ্যায়ী। মূলত তাঁরাই টাকা জোগাড় করে পিয়ালিকে চন্দননগরের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।